যুব বিশ্বকাপের রেকর্ড ছয়বারের চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। যদিও সবশেষ শিরোপা জেতে তারা ২০০৭ সালে। তবে সেই অপেক্ষা ঘোচতে পারে এবার, দেড়যুগ পর আবারো ফাইনালে আলবিসেলেস্তারা। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ মরক্কো।
চিলিতে বৃহস্পতিবার সকালে প্রথম সেমিফাইনালে কলম্বিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়ে যুবাদের বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠেছে আর্জেন্টিনা। অন্যদিকে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ফ্রান্সকে আটকে দিয়েছে মরক্কো। টাইব্রেকারে তাদের জয় ৫-৪ গোলে।
আগামী সোমবার ভোরে সান্তিয়াগোতে ফাইনালে আফ্রিকান দল মরক্কোর মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা। আর্জেন্টিনা যেমন চায় ১৮ বছরের অপেক্ষা ঘোচাতে, মরক্কো প্রথমবারের মতো চায় এই শিরোপা জিততে।
আর্জেন্টাইনদের জয়ের নায়ক লিওনেল মেসির ইন্টার মায়ামি সতীর্থ মাতেও সিলভেত্তি। ম্যাচের ৭২ মিনিটে জিয়ানলুকা প্রেসতিয়ান্নির দারুণ পাস থেকে বল জালে জড়ান ১৯ বছর বয়সী এই তারকা।
এই নিয়ে সিলভেত্তি গোল পেলেন নকআউট পর্বের ৩টি ম্যাচেই। সেমিফাইনালের আগে দ্বিতীয় রাউন্ডে নাইজেরিয়া ও কোয়ার্টার ফাইনালে মেক্সিকোর বিপক্ষে ১টি করে গোল করেছিলেন সিলভেত্তি।
অন্যদিকে মরক্কোকে ফাইনালে উঠতে হয়েছে অনেক ঝক্কি পেরিয়ে। যার শেষটা হয় টাইব্রেকারে, ম্যাচের তৃতীয় গোলকিপারের হাত ধরে। পেনাল্টি শুটআউটে ফ্রান্সকে আটকে দেন আব্দেল হাকিম এল মেসবাহি।
ম্যাচের অতিরিক্ত ৩০ মিনিটের খেলা তখন শেষের দিকে, দুই দল তখনো ১-১ সমতায়। তখনই মাঠে আসেন তৃতীয় গোলরক্ষক মেসবাহি। এদিন মরক্কোর প্রথম গোলকিপার ইয়াসিন বেঞ্চাউচ চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন ৬৪তম মিনিটে।
তার বদলে নামানো হয় ইব্রাহিম গোমিসকে। পরে তাকে উঠিয়ে নিয়ে টাইব্রেকারের আগে মাঠে পাঠানো হয় মেসবাহিকে। কেন তাকে পাঠানো হয়, তা তিনি প্রমাণ করে দেন টাইব্রেকারে দিলিয়ান এনগুসেনের নেয়া শটটি রুখে দিয়ে।
এই জয়ে যেমন প্রতিযোগিতায় প্রথমবার ফাইনালে উঠল মরক্কো, তেমনি নিলো দারুণ এক প্রতিশোধ। কাতার বিশ্বকাপে এই ফ্রান্সের কাছে হেরে ফাইনালে উঠা হয়নি মরক্কোর। এবার ফরাসিদের বিদায় করে ফাইনালে উঠল তারা।