পাঁচ বছর পর এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে জয়ের মুখ দেখল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দল। এবারের বাছাইয়ের শেষ ম্যাচে এসে সিঙ্গাপুরকে উড়িয়ে দিয়েছেন ফাহমিদুলরা। আনুষ্ঠানিকতার ম্যাচে বাংলাদেশের জয় ৪-১ গোলে।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দল এক যুগ ধরে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে আসছে। কখনো চূড়ান্ত পর্বে ওঠা তো দূরের কথা, এর আগে জয়ই ছিল মাত্র একটা। ২০২০ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।
এরপর ২০২২, ২০২৪ সালে অংশ নিয়েও জয়ের মুখ দেখেনি বাংলাদেশ। হেরেছে সব ম্যাচ। এবার ভিয়েতনামে অনুষ্ঠিত বাছাইয়ের প্রথম দুই ম্যাচেও হারে তারা। একই সাথে শেষ হয়ে যায় মূল পর্বে খেলার স্বপ্ন।
তবে নিয়মরক্ষার শেষ ম্যাচটা ঠিকই জিতেছে বাংলাদেশ, ৫ বছরের খরা কাটিয়ে জিতেছে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে। জয়টাও বেশ বড়। বলা যায় বড় অসময়ে জ্বলে উঠলেন মোরসালিনরা।
এদিন ৭০-৮২ মিনিটে বাংলাদেশ সিঙ্গাপুরের উপর ঝড় বইয়ে দেয়। এই ১২ মিনিটে বাংলাদেশ চার গোল আদায় করে নেয়। যার শুরুটা করেন প্রবাসী ফুটবলার ফাহমিদুল। প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে গোল করেন তিনি।
ফাহমিদুলের জাতীয় দলে অভিষেক হয় গত জুনে ঢাকায় ভুটানের বিপক্ষে ম্যাচে। তারপর সিঙ্গাপুরের বিপক্ষেও খেলেছেন তিনি। এরপর তাকে ডাকা হয় অনূর্ধ্ব-২৩ চ্যাম্পিয়নশিপেও।
যদিও ভিয়েতনামের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ খেলেননি তিনি। আর দ্বিতীয় ম্যাচ খেললেও তার পারফরম্যান্স ছিল না সন্তোষজনক। উল্টো আরচরণগত কারণে সমালোচিত হয়েছিলেন। তবে এবার নিজেকে চেনাতে ভুল করেননি।
ফাহমিদুলের গোলের দুই মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ হয়। ফরোয়ার্ড আল আমিনকে উদ্দেশ্য করে লং বল পাঠানো হলে, তা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দারুণভাবে জালে পাঠান তিনি। কিছুই করার ছিপ না সিঙ্গাপুর গোলরক্ষকের।
আট মিনিট পর মহসিন আহমেদ তৃতীয় গোলটা করেন। এটাও লং বল থেকে। সিঙ্গাপুর ডিফেন্ডার বল ঠিক মতো ক্লিয়ার করতে পারেননি। মহসিন বল রিসিভ করে কোনাকুনি শটে গোল করেন।
আর দলের অধিনায়ক শেখ মোরসালিন দলের হয়ে শেষ গোলটা করেন। ৮২ মিনিটে তিনি বক্সের উপর দারুণ শটে বাংলাদেশের বড় জয় এনে দেন। যদিও যোগ করা সময়ে সময়ে সিঙ্গাপুর এক গোল পরিশোধ করে।
উল্লেখ্য, এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ বাছাইয়ে এটি ছিল বাংলাদেশের ২১তম ম্যাচ। আগের ২০টিতে মাত্র একটি জয় ও একটি ড্র ছিল। বাংলাদেশ হেরেছিল ১৮টি ম্যাচেই।