ভিনিসিউস জুনিয়র, রদ্রিগোর মতো তারকারা ছিলেন না ব্রাজিলের একাদশে। তবে তাদের অনপুস্থিতির কোনো প্রভাব পড়ল না ব্রাজিলের খেলায়। গতিময় ফুটবল খেলেই চিলিকে অনায়াসেই হারাল আনচেলত্তির দল।
মারাকানা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকালের ম্যাচে ৩-০ গোলে জিতেছে ব্রাজিল। প্রথমার্ধে এস্তেভাও দলকে এগিয়ে নেয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান বাড়িয়েছেন লুকাস পাকেতা ও ব্রুনো গিমারাইস।
মারাকানায় আজ সকালের ম্যাচে বল দখল, আক্রমণ ও সুযোগ তৈরিসহ সব দিক থেকেই দাপট দেখিয়েছে ব্রাজিল। ৬৫ শতাংশ বলের দখল রাখা ব্রাজিল ২২টি শট নিয়ে ৮টিই রেখেছে লক্ষ্যে।
অন্য দিকে ৩৫ শতাংশ বলের দখল রাখা চিলি ৩টি শট নিলেও কোনোটিই লক্ষ্যে ছিল না। এই পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে ম্যাচে কতটা আধিপত্য ছিল ব্রাজিলের।
ঘরের মাঠে ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই প্রথম সুযোগ পায় ব্রাজিল। তবে রাফিনিয়ার ক্রসে হেড করলেও চিলির গোলরক্ষককে পরাস্ত করতে পারেননি গাব্রিয়েল মাগালিয়াইস।
অবশ্য ২ মিনিট পর জালে বল পাঠান মিডফিল্ডার কাসেমিরো। কিন্তু অফসাইডের জন্য মেলেনি গোল। অসংখ্য ফাউলে বারবার ছন্দপতন হলেও গতিময় ফুটবলে চিলিকে বেশ চাপে রাখে ব্রাজিল।
তবে ডি বক্স ও এর আশপাশে চিলির সব খেলোয়াড় থাকায় বারবার জালের নাগাল পাচ্ছিলেন না স্বাগতিকরা। অবশেষে ৩৮তম মিনিটে শেষ হয় ব্রাজিলের গোলের অপেক্ষা, ভাঙে চিলির জমাট রক্ষণ।
অবশ্য প্রথকমে রাফিনিয়ার শট কোনোমতে হাত বাড়িয়ে ফেরান চিলি গোলরক্ষক, তবে ফিরতি বলে সুযোগ কাজে লাগান এস্তেভাও। গোললাইনের সামনে থেকে চমৎকার বাইসাইকেল কিকে জাল খুঁজে নেন চেলসির এই ফরোয়ার্ড।
এরপর সুযোগ আরো এসেছিল ব্রাজিলের। তবে বারবার আটকা পড়ছিল চিলির রক্ষণে। অবশেষে দ্বিতীয় গোলের অপেক্ষা ফুরোয় ৭১ মিনিটে। লুইস এইহিকের ক্রসে হেডে জাল খুঁজে নেন বদলি নামা পাকেতা।
৭৬তম মিনিটে স্কোর লাইন ৩-০ করে ফেলেন গিমারাইস। এই গোলেও আছে এইহিকের অবদান। তার শট কোনোমতে ঠেকান চিলি গোলরক্ষক। ছুটে গিয়ে ফিরতি বল জালে পাঠান গিমারাইস।
এরপর আর কোনো গোল না হলেও বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। এই জয়ে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে দুইয়ে উঠে এসেছে ব্রাজিল।
১৭ ম্যাচে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। আর ২৭ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে দু’বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ে।