ইতিহাসের পাতায় নাম লেখালেন লিওনেল মেসি। গোলাপি জার্সিতে গড়লেন অনন্য কীর্তি। প্রথমবারের মতো ইন্টার মায়ামিকে জেতালেন এমএলএস কাপ শিরোপা। রাঙালেন সার্জিও বুসকেটস ও জর্ডি আলবার বিদায়বেলা।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) চেজ স্টেডিয়ামে এমএলএস কাপের ফাইনালে ভ্যাঙ্কুবার হোয়াইটক্যাপসের মুখোমুখি হয় মায়ামি। যেখানে ৩-১ গোলের হয়ে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে দলটি। গোল না পেলেও জোড়া অ্যাসিস্ট করেছেন মেসি।
এমএলএসে যখন যোগ দেন মেসি, তখন একেবারেই তলানির দিকের দল ছিল মায়ামি। তবে মেসির সান্নিধ্য পেয়ে প্রথম মৌসুমেই তারা জিতে নেয় লিগস কাপ। এরপর জেতে সাপোর্টার্স শিল্ড শিরোপাও। করেন ইস্টার্ন কনফারেন্স চ্যাম্পিয়নও।
আর এবার আরাধ্য এমএলএস কাপও এনে দিলেন গোলাপি জার্সিধারীদের। আগেই ফুটবল ইতিহাসের সর্বোচ্চ শিরোপাজয়ী ফুটবলার ছিলেন মেসি, এবার সংখ্যাটা বাড়িয়ে নিলেন আরো (৪৮)।
ম্যাচের শুরুতে ভ্যাঙ্কুবারের এদিয়ের ওকাম্পোর আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় মায়ামি। ৮ মিনিটের মাথায় তাদেও আলেন্দের ক্রস ঠেকাতে গিয়ে ভ্যাঙ্কুভার ডিফেন্ডার ওকাম্পোর গায়ে লেগে বল জালে ঢুকে পড়ে।
এগিয়ে যাওয়ার পর অবশ্য আধিপত্য ধরে রাখতে পারেনি মায়ামি। সমতায় ফিরতে দারুণ চেপে ধরে ভ্যানকুভার। তবে এত সবকিছুর মাঝেই ৬০ মিনিট পর্যন্ত ধরে রাখে লিড। এরপর আলী আহমেদের গোলে সমতা ফেরায় ভ্যাঙ্কুবার।
এরপর এগিয়ে যাওয়ার সুযোগও পেয়ে যায় ভ্যাঙ্কুবার। ৬২ মিনিটে এম্যানুয়েল সাব্বির শট এক পোস্টে লেগে গোললাইনের অল্প দূরত্বে গড়িয়ে ফের পোস্টে লাগে, ফিরতি বলে আবার শট নিলেও ফের তা পোস্টে ঠেকে বেরিয়ে যায়!
তিনবার পোস্টে লেগে গোল না হওয়া মুহূর্তই যেন বলে দিচ্ছিল, দিনটা তাদের নয়। এরপরই শুরু হয় মেসি ম্যাজিক। ৭১তম মিনিটে ফের এগিয়ে দেন মায়ামিকে, তার পাস ধরে গোল করেন রদ্রিগো ডি পল। স্কোর হয় ২-১।
ম্যাচের শেষভাগে যোগ করা সময়ে মেসি আরো একটা গোল বানিয়ে দেন। ৯৬ মিনিটের মাথায় এবার আলেন্দেকে একটি অসাধারণ পাস দেন, যা জালে জড়াতে আলেন্দের কোনো সমস্যাই হয়নি।
শেষ পর্যন্ত ব্যবধান ধরে রেখে এমএলএসের ৩০ বছরের ইতিহাসে ১৬তম ক্লাব হিসেবে এমএলএস কাপের শিরোপা জিতে ইন্টার মায়ামি।
এদিকে এমএলএস কাপের ফাইনাল দিয়ে শেষবারের মতো বুট জোড়া পায়ে দিয়ে নামেন সার্জিও বুসকেটস ও জর্ডি আলবা। ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচটা গতরাতে খেলেছেন তারা। শিরোপা জেতে বিদায় বেলাটা রঙিন করে রাখলেন দু’জনেই।



