মাঠে গড়ানোর আগেই উত্তাপ ছড়াতে শুরু করে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ। মাত্র চার-পাঁচ মিনিটে শেষ হয়ে যায় সাধারণ গ্যালারির সাড়ে ১৮ হাজার টিকিট। মাঠেও তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বীতা আশা করছেন হাভিয়ের কাবরেরা।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) জাতীয় স্টেডিয়ামে রাত ৮টায় দেখা হবে দু’ দলের। এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের এই ম্যাচকে ঘিরে তীব্র উত্তেজনা অনুভব করছেন বাংলাদেশ কোচ।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে কাবরেরা বলেন, ‘আমি মনে করি এই ম্যাচে অনেক আবেগ জড়িত। ডার্বির আবহটা সবার জন্যই স্পেশাল। দলের আবেগ কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করি, সেটাই আসল। এই ম্যাচের গুরুত্ব আমাদের প্রেরণা দিচ্ছে।’
এই ম্যাচ যেমন আবেগের সেইসাথে জয় পাওয়াটা কতটা তাৎপর্যপূর্ণ সে কথাও জানালেন কাবরেরা। স্প্যানিশ ওই কোচ বলেন, ‘আমরা দল নিয়ে আলোচনা করেছি, আবেগ নিয়ন্ত্রণ করাটাও জরুরি, যেন জিততে পারি।’
বাংলাদেশ সবশেষ ভারতের বিপক্ষে জয় পেয়েছিল ২২ বছর আগে, ২০২৩ সালে। এরপর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও তাদের বিপক্ষে জয়টা অধরাই। এবার নিজেদের মাঠে সেই জয়খরা ঘুচানোর সুযোগ জামাল ভূঁইয়াদের।
অবশ্য এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে প্রথম দেখায় ভারতের মাঠে ১-১ সমতায় শেষ করেছিল বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে তাই এবার জয় নিয়েই ভাবছে তারা। কাবরেরা চাইছেন পূর্ণ ৩ পয়েন্ট নিয়ে বাছাইপর্ব শেষ করতে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সামর্থ্য আছে, আমরা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে শক্তিশালী। তাই ভারতের বিপক্ষে জয়ের সুযোগটা নিতে হবে। আমরা খুবই আত্মবিশ্বাসী কাল তিন পয়েন্ট অর্জন করতে।’
এদিকে ব্যাপক সমালোচনা থাকলেও ভারতের ম্যাচে বাংলাদেশের গোলপোস্টের নিচে থাকছেন মিতুল মারমাই। হাভিয়ের কাবরেরা আজ সংবাদ সম্মেলনে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছেন তা।
এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে চার ম্যাচে ৭ গোল হজম করেন মিতুল। সর্বশেষ ১৩ নভেম্বর নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচেও তার ভুলে শেষ মুহূর্তে গোল হজম করে বাংলাদেশ। জেতা ম্যাচটা ড্র হয়।
তবে কাবরেরা বলে দিয়েছেন, ‘মিতুলই খেলবে। এ নিয়ে আমরা বিশেষভাবে কাজ করেছি। সঠিকভাবে বক্স ডিফেন্ড করতে পারলে সমস্যা হবে না।’



