ঘরের মাঠে আগের ম্যাচে শেষ পর্যন্ত লড়াই করেও খালি হাতেই ছাড়তে হয় মাঠ। খুব চেষ্টা করেও পায়নি পয়েন্টের দেখা। তবে এবার একেবারে হতাশ করেননি হামজারা, আদায় করে নিয়েছেন ১ পয়েন্ট।
মঙ্গলবার কাই তাক স্টেডিয়ামে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচে মুখোমুখি হয় হংকং ও বাংলাদেশ। যেখানে জিততে পারেনি কেউ, ১-১ সমতায় শেষ হয়েছে দুই দলের দ্বিতীয় লেগের লড়াই।
২২ বছর পর হংকংয়ের বিপক্ষে কোনো পয়েন্টের দেখা পেল বাংলাদেশ। সর্বশেষ ২০০৩ সালে এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে ২-২ ড্র করেছিল দুই দল। মাঝে আরো তিনটি ম্যাচ খেললেও ফিরতে হয় খালি হাতে।
বাংলাদেশের হয়ে এই ম্যাচে একমাত্র গোলটা করেন রাকিব হোসেন। ৮৪ মিনিটে মোহাম্মদ ফাহিমের দারুণ ক্রস ধরে হেডে রাকিবের দিকে বল ঠেলে দেন ফাহমিদুল ইসলাম। যা থেকে গোল পেতে সমস্যা হয়নি রাকিবের।
এদিন জায়ান আহমেদ, সামিত সোম ও তপু বর্মনকে রেখে ফিরতি লেগের শুরুর একাদশ সাজান কাবরেরা। রক্ষণের দৃঢ়তা ধরে রাখার ছক নিয়েই মাঠে নামে বাংলাদেশ।
তাতে রক্ষণে কয়েক দফা হানা দিলেও মিতুল মারমাকে কঠিন পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি হংকং। বিপরীতে বাংলাদেশও লড়াই করতে থাকে পাল্লা দিয়ে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি।
৩৬তম মিনিটে বলের নিয়ন্ত্রণ নিতে গিয়ে গড়বড় পাকিয়ে বক্সেই ফাউল করে বসেন তারিক কাজি। যার মাশুল দিতে হয় পেনাল্টি উপহার দিয়ে। নিজে দেখেন হলুদ কার্ড।
পেনাল্টি থেকে গোল পেতে সমস্যা হয়নি হংকংয়ের। মিতুলকে বিপরীত দিকে ছিটকে দিয়ে স্পট কিক থেকে হংকংকে এগিয়ে নেন ম্যাট অর।
গোলের পর আক্রমণে গতি বেড়ে যায় হংকংয়ের। হঠাৎ যেন কিছুটা খেই হারায় বাংলাদেশ। ৪৪তম মিনিটে তো বাড়তে পারতো বিপদ। মিতুলের গ্লাভস গলে বল প্রায় বেরিয়েই যাচ্ছিলো, তবে তা আটকে দেন একজন।
১-০ গোলে পিছিয়ে থেকে অস্বস্তি নিয়েই বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। তবে বিরতির পর বদলে যায় দলের আবহ। ম্যাচে ফিরতে বারবার চেষ্টা করতে থাকে হামজারা। ৪৯ মিনিটে সাদ উদ্দিনকে হতাশ করেন হংকং গোলরক্ষক।
৬৪তম মিনিটে দুটি পরিবর্তন আনেন বাংলাদেশ কোচ। জায়ান ও সোহেল রানাকে তুলে জামাল ভূঁইয়া ও ফাহামিদুল ইসলামকে নামান। তাতে খেলায় আরো গতি ফিরে। ফাহমিদুল দারুণ খেলতে থাকেন।
৬৩ ও ৭৩ মিনিটে পরপর দুটি সুযোগ পেয়েছিলেন ফাহমিদুল। তবে দুই বারই স্বাগতিকদের বাঁচিয়ে দেন হংকং গোলরক্ষক। তবে এর মাঝে হংকং বড় ধাক্কা খায় ৭৫তম মিনিটে।
দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন তাদের ডিফেন্ডার অলিভার গারবিগ। ১০ জনের দলে পরিণত হয় স্বাগতিকেরা। একটু পর ৭৯তম মিনিটে মোরসালিনের বদলি নামেন মোহাম্মদ ফাহিম।
এরপর ফাহিম আর ফাহমিদুল মিলেই বাংলাদেশকে এনে দেন গোল, তাদের বানিয়ে দেয়া আক্রমণ ধরে গোলটা করেন রাকিব। এরপর অবশ্য জয়ের জন্যও চেষ্টা করতে থাকে দল, তবে লক্ষ্য সফল হয়নি।