নেপালে আটকা পড়েছেন জামাল ভূঁইয়ারা। চাইলেও পারছেন না উড়াল দিতে, দেশ ছাড়তে। উত্তাল পরিস্থিতিতে বন্ধ হয়ে আছে ফ্লাইট। এমতাবস্থায় হোটেলেই অবরুদ্ধ হাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যরা।
অথচ দুপুর পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। বেলা ৩টার ফ্লাইটে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের দেশে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু দল হোটেলই ছাড়তে পারেনি। উলটা আন্দোলনকারীদের দ্বারা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন তারা।
জানা গেছে, বিক্ষুব্ধদের একটি অংশ হানা দিয়েছিল টিম হোটেলেও। তারা ধারণা করেছিল হোটেলে সরকারের লোকজন ও অল নেপাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এনএনএফএ) কর্মকর্তাদের কেউ অবস্থান করছে।
তবে তাদের কাউকে না পেয়ে, শুধু বাংলাদেশ ও নেপালের ফুটবল দল অবস্থান করছে জেনে তারা হোটেল ত্যাগ করেন। ফলে স্বস্তি ফিরে বাংলাদেশ শিবিরে। যদিও এখনো থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
এদিকে বিক্ষোভের তীব্রিতায় কাঠমান্ডু বিমানবন্দরের কার্যক্রম আংশিক বন্ধ করে দিয়েছে দেশটির বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ। বাতিল হয়েছে বাংলাদেশ দলের দেশে ফেরার ফ্লাইটও।
এদিকে দেশে ফিরবেন বলে হোটেলে আজ চেক-আউটও হয়েছিল জামাল ভূঁইয়াদের। তবে শেষ মূহূর্তে বদলে যায় দৃশ্যপট। নতুন করে হোটেল কর্তৃপক্ষ তাদের রুমের ব্যবস্থা করেছে।
এ অবস্থায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন জানিয়েছে, দলের ফেরার বিষয়ে পরবর্তী আপডেট দ্রুততম সময়ে জানানো হবে।
মূলত দু’ম্যাচের প্রীতি সিরিজ খেলতে নেপালে গিয়েছে হাভিয়ার কাবরেরার শিষ্যরা। শনিবার প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয় দু’দল। তবে জিততে পারেনি কেউ, গোল শূন্য ড্র হয় খেলা। তাই দ্বিতীয় ম্যাচটা রূপ নেয় অলিখিত ফাইনালে।
তবে এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে সোমবার অনুশীলন করতে পারেনি বাংলাদেশ। পূর্ব নির্ধারিত অনুশীলন সূচি থাকলেও নেপালের বেসামাল পরিস্থিতিতে হোটেল ছেড়েই বের হতে পারেনি তারা।
এদিকে অবস্থা আরো বেগতিক হয়ে যাওয়ায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ ও সহিংসতার কারণে শেষ পর্যন্তু ম্যাচটি বাতিল হয়ে যায়। গতকালই ম্যাচ বাতিলের কথা জানায় অল নেপাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েসন (আনফা)।
এ অবস্থায় পরিকল্পনা অনুযায়ী বুধবার দেশে ফেরার কথা থাকলেও একদিন আগে আজই দলকে ফিরিয়ে আনা হবে বলে নিশ্চিত করে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। তবে সেই পরিকল্পনাও ভেস্তে গেল।