নতুন মৌসুমে অসাধারণ কিছুর আভাস দিয়ে রাখলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে ও ভিনিসিউস জুনিয়র। গত রাতে দেখা যায় যার ঝলক, দু’জনে মিলে রিয়াল মাদ্রিদকে এনে দিয়েছেন বড় জয়। উড়িয়ে দিয়েছেন ওভেইদোকে।
রোববার রাতে প্রতিপক্ষ ওভেইদোর মাঠেই কিলিয়ান এমবাপ্পে করেন জোড়া গোল, শেষ মুহূর্তে গোল করেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়রও। তাতে ৩-০ ব্যবধানে জয় পেয়েছে জাবি আলোনসোর শিষ্যরা।
এই ম্যাচের আগে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে ছিল রিয়াল মাদ্রিদ। প্রতিপক্ষ যেমন অচেনা, খেলতেও হবে প্রায় অচেনা মাঠেই। সেই পরীক্ষায়ও দারুণভাবে উতরে গেল জাবি আলোনসোর দল।
শুরুর একাদশে আলোনসো বড় চমক দেখিয়েছেন। ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে বসিয়ে রাখা হয় বেঞ্চে। তবে এমবাপ্পে বুঝতে দেননি সেই অভাব, সাথে দারুণ খেলেন রদ্রিগোও।
দু’জনে মিলে চাপও তৈরি করছিল নিয়মিত। কিন্তু একেবারে গোল মুখে গিয়ে আটকে যাচ্ছিল আক্রমন। অবশেষে ৩৭ মিনিটে অপেক্ষার অবসান। মেলে গোলের দেখা।
দারুণ এক ট্যাকলে বল কেড়ে নেন চুয়ামেনি। এরপর বল পান আরদা গুলের, আর তার কাছ থেকে বল বুঝে নেন এমবাপ্পে। চমৎকার টার্ন নিয়ে ফরাসি স্ট্রাইকার জাল খুঁজে নেন। ঝাঁপিয়েও বলের নাগাল পাননি এস্কান্দেল।
খেলার গতিতে পরিবর্তন আনতে দ্বিতীয়ার্ধে ৬৩তম মিনিটে জোড়া পরিবর্তন আনেন আলোনসো। রদ্রিগো ও মাস্তানতুয়োনোর জায়গায় আসেন ভিনিসিউস ও দিয়াস, যা কাজেও দেয়।
৬৬তম মিনিটে প্রতি আক্রমণ থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করার দারুণ সুযোগ পেয়ে যায় রিয়াল। কিন্তু সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি ফেদে ভালভের্দে। তার শট কোনোমতে হাত ছুঁয়ে পোস্টের পাশ দিয়ে পাঠান এস্কান্দেল।
৮৩তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে রিয়াল। মাঝমাঠে চমৎকার চ্যালেঞ্জে বল কেড়ে নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যান ভিনিসিউস। তবে নিজে শট না নিয়ে বল দেন এমবাপ্পেকে, যা জালে জড়াতে ভুল করেননি ফরাসি অধিনায়ক।
দুই মিনিট পর হ্যাটট্রিক হয়েই যেত এমবাপের। কিন্তু চমৎকার রিফ্লেক্সে ঝাঁপিয়ে তার গতিময় শট ঠেকিয়ে দেন ওভেইদো গোলরক্ষক।
তবে এমবাপ্পে গোল না পেলেও গোল পান ভিনিসিউস জুনিয়র। যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে জালের দেখা পান তিনি। প্রতি আক্রমণ থেকে বল পেয়ে অনায়াসে জাল খুঁজে নেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।
আসরে এটাই তার প্রথম গোল। ম্যাচ শেষ হয় সেখানেই। রিয়াল জিতে যায় ৩-০ গোলে। তাতে টানা দুই ম্যাচে জিতে ৬ পয়েন্ট নিয়ে তিনে লস ব্লাঙ্কোজরা। সমান পয়েন্ট নিয়ে গোলের হিসেবে এগিয়ে শীর্ষে ভিয়ারিয়াল ও দুইয়ে বার্সেলোনা।