ঘুরে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়ে টানা তৃতীয় জয় ম্যানইউর

টানা তৃতীয় জয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড; ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ব্রাইটনকে ৪-২ গোলে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলে চারে উঠেছে রেড ডেভিলরা।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ব্রাইটনকে ৪-২ গোলে হারিছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড
ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ব্রাইটনকে ৪-২ গোলে হারিছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড |সংগৃহীত

নতুন মৌসুমে যেন ঘুরে দাঁড়ানোর বার্তা দিচ্ছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। টানা ব্যর্থতায় বিধ্বস্ত ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটা যেন ফিরে পেয়েছে খানিকটা উদ্যম। প্রিমিয়ার লিগে তুলে নিয়েছে টানা তৃতীয় জয়।

সান্ডারল্যান্ড ও লিভারপুলের বিপক্ষে জয়ের পর ঘরের মাঠ ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে শনিবার ব্রাইটনের বিপক্ষে ৪-২ গোলে জিতেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলে চারে উঠে এসেছে রেড ডেভিলরা।

ম্যাথিউস কুনহা ও কাসেমিরোর গোলের পর ব্রায়ান এমবুয়েমোর জোড়া গোলে দারুণ এক জয় পায় রেড ডেভিলরা। ব্রাইটনের হয়ে ব্যবধান কমানো দু’টি গোল করেন ড্যারি ওয়েলব্যাক ও চারালাম্পোস কোস্তুলাস।

দুই ব্রাজিলিয়ারের নৈপুণ্যে ম্যাচের ২৪ মিনিটে এগিয়ে যায় ইউনাইটেড। কাসেমিরোর পাস থেকে প্রায় ২০ গজ দূর থেকে ডান পায়ের নিচু শটে লক্ষ্যভেদ করেন কুনহা। তার মিনিট দশেক পরই ব্যবধান দ্বিগুন হয়।

এবার গোলদাতার ভূমিকায় কাসেমিরো। লুক শ’র অ্যাসিস্ট থেকে বুলেট শট নেন কাসেমিরো। ব্রাইটনের মিডফিল্ডার আয়ারির পিঠে লেগে বল দিক পরিবর্তন করে, তাতে গোলকিপার বিভ্রান্ত হলে বল জড়ায় জালে।

ইউনাইটেড বিরতিতে যায় ২-০ গোলে এগিয়ে থাকার স্বস্তি নিয়ে। ইতিহাস বলছে, ঘরের মাঠে প্রথমার্ধে এগিয়ে থেকে কখনো লিগ ম্যাচে হারের অভিজ্ঞতা নেই তাদের। ৩২৬টি ম্যাচে জয় ৩০১টি, বাকি ২৫টি ম্যাচ হয় ড্র।

জয় তুলে নেয় এই ম্যাচেও। তবে আরো ২টি গোল আদায় করে নেয় তারা। ৬১ মিনিটে ব্যবধান ৩-০ করেন এমবুয়েমা। বেঞ্জামিন সেস্কোর কাছ থেকে বল পেয়ে প্রতিপক্ষকে বোকা বানান ক্যামেরুনের এই মিডফিল্ডার।

৩-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর যেন খানিকটা আত্মতুষ্টি পেয়ে বসেছিল স্বাগতিকদের। সুবাদে পরপর ২ গোল হজম করে বসে তারা। ৭৪ মিনিটে গোল করেন ড্যারি ওয়েলব্যাক। আর যোগ করা সময়ে ব্যবধান কমান কোস্তুলাস।

তবে যোগ করা সময়ের শেষ মুহূর্তে গোল করে ব্যবধান ৪-২ করেন এমবুয়েমা। তাতে বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে স্বাগতিকেরা। সব মিলিয়ে ৯ ম্যাচে ৫ জয়, এক ড্র ও ৩ হারে রুমেন আমোরিমের দলের অর্জন ১৬ পয়েন্ট।