বিশ্বকাপের মূল পর্ব থেকে মাত্র ৩ মিনিট দূরে ছিল পর্তুগাল। তবে এই সময়টুকু হাঙ্গেরিকে সামলে রাখতে পারেনি তারা। ফলে বাড়ল অপেক্ষা, বিশ্বকাপে জায়গা পেতে অপেক্ষা করতে হবে আরো মাস খানেক।
মঙ্গলবার ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে হাঙ্গেরির বিপক্ষে জয়ের পথেই ছিল পর্তুগাল। তবে যোগ করা সময়ের যখন আর ৩ মিনিট বাকি, তখন সব হিসাব বদলে যায়। ২-২ গোলে শেষ হয় লড়াই।
সব হিসাব পাল্টে দিলেন দমিনিক সোবোসলাই। তার শেষ মুহূর্তে এসে তার গোলে নিশ্চিত হয় পয়েন্ট ভাগাভাগি। ফলে ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট কাটা বিলম্বিত হলো পর্তুগালের।
হাঙ্গেরির বিপক্ষে জয় পেলেই সরাসরি বিশ্বকাপ নিশ্চিত হতো ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোদের। এখন অপেক্ষা করতে হবে আগামী মাসে আয়ারল্যন্ডের বিপক্ষে ম্যাচের জন্য। সেখানে এক পয়েন্ট পেলেই চলবে তাদের।
দলকে জেতানোর জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টাটাই করেন রোনালদো। দলের জোড়া গোলের দু’টিই করেছেন তিনি। তাতে গড়েছেন দারুণ এক রেকর্ড, বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে সর্বোচ্চ গোলদাতা এখন এই মহাতারকা।
বাছাইয়ে রোনালদোর গোলসংখ্যা এখন ৪১। পেছনে ফেলেছেন গুয়াতেমালার কিংবদন্তি কার্লোস রুইজকে (৩৯)। সব মিলিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে তার মোট গোল হলো ১৪৩টি। যা ফুটবল ইতিহাসে নেই আর কারো।
ঘরের মাঠে অবশ্য শুরুতেই পিছিয়ে যায় পর্তুগাল। ৮ম মিনিটে কর্নার থেকে গোল করে এগিয়ে যায় হাঙ্গেরি। সোবোসলাইয়ের কর্নারে লাফ দিয়েও বল নাগালে পাননি দিয়াগো কস্তা। সুযোগ পেয়ে আতিলা সালাই জোরাল হেডে খুঁজে নেন জাল।
২২ মিনিটে সমতায় ফিরে পর্তুগাল। নেলসন সেমেদোর ডান দিক থেকে নিচু ক্রসে ছয় গজ দূর থেকে লক্ষ্যভেদ করে পর্তুগালকে সমতায় ফেরান রোনালদো। অবশ্য এর আগে-পরে আরো কয়েকটি সুযোগ হাতছাড়া করেন তিনি।
তবে প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে নুনো মেন্দেসের দুর্দান্ত ক্রসে ফের ঠিকানা খুঁজে নেন রোনালদো। ২-১ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় পর্তুগাল।
দ্বিতীয়ার্ধের পুরোটা সময় জুড়ে চলতে থাকে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ। তবে গোল আসছিল না। তবে এমন মুহূর্তে গোল করে বসেন সোবোসলাই, সেখান থেকে আর ম্যাচে ফেরা সম্ভব ছিল না। ফলে সমতায় শেষ হয় খেলা।
এর ফলে ৪ ম্যাচে তিন জয় ও এক ড্রয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের চূড়ায় পর্তুগাল। সমান ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে তাদের পরেই আছে হাঙ্গেরি।