শাসকের রোষে দেশ ছেড়ে সপরিবারে গ্রিসে জোকোভিচ

গত ডিসেম্বরে নোভি সাদের একটি রেলস্টেশনে এক মর্মান্তিক ঘটনার পর সার্বিয়ায় সরকার বদলের জন্য বিক্ষোভ শুরু হয়। ঘটনায় ১৬ জন প্রাণ হারান। এরপর সোশাল মিডিয়ায় এক প্রতিক্রিয়ায় ছাত্র আন্দোলনকে সমর্থনও জানিয়েছিলেন জোকোভিচ।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
পরিবারের সাথে নোভাক জোকোভিচ
পরিবারের সাথে নোভাক জোকোভিচ |সংগৃহীত

নিজ দেশ সার্বিয়া ত্যাগ করলেন ২৪ বারের গ্র্যান্ড স্ল্যাম চ্যাম্পিয়ন নোভাক জোকোভিচ। দেশটিতে অস্থিরতার কারণে সবার অলক্ষ্যেই তার পরিবারকে গ্রিসে সরিয়ে নিলেন ৩৮ বছর বয়সী এই টেনিস কিংবদন্তি।

সার্বিয়া জুড়ে সরকারবিরোধী আন্দোলনকে প্রকাশ্যে সমর্থন করেছিলেন জোকোভিচ। সে কারণেই সরকারের রোষের মুখে পড়েছিলেন তিনি। আর তাই নিজের দেশ ছেড়ে গ্রিসে সপরিবারে পাড়ি দিয়েছেন তিনি।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের দাবি, জোকোভিচ তার ছেলে স্টেফান এবং মেয়ে তারাকে এথেন্সের সেন্ট লরেন্স কলেজে ভর্তি করেছেন। ওই শহরে একটি বাড়িও কিনেছেন তিনি।

সম্প্রতি এথেন্সের কাভুরি টেনিস ক্লাবে ছেলের সাথে খেলতেও দেখা গেছে জোকোভিচকে। জানা যায়, গ্রিক গোল্ডেন ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন তিনি। গ্রিসে নির্দিষ্ট পরিমাণে বিনিয়োগ করলে এই ভিসা পাওয়া যায়। গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিতসোতাকিসের সাথে দু’বার দেখাও করেছেন তিনি। তা ছাড়াও ফ্রান্সের মোনাকোতেও তার সম্পত্তি রয়েছে বলে জানা গেছে।

গত ডিসেম্বরে নোভি সাদের একটি রেলস্টেশনে এক মর্মান্তিক ঘটনার পর সার্বিয়ায় সরকার বদলের জন্য বিক্ষোভ শুরু হয়। ঘটনায় ১৬ জন প্রাণ হারান। এরপর সোশাল মিডিয়ায় এক প্রতিক্রিয়ায় ছাত্র আন্দোলনকে সমর্থনও জানিয়েছিলেন জোকোভিচ।

এমনকি অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জয় আন্দোলনে মৃত এক ছাত্রকে উৎসর্গ করেন। তা ছাড়া বেলগ্রেড বাস্কেটবল ডার্বি দেখতে ‘স্টুডেন্টস অ্যান্ড চ্যাম্পিয়ন্স’ লেখা টি-শার্ট পরে গিয়েছিলেন। হয়তো সেই কারণে সার্বিয়া প্রশাসনের কাছে ‘শত্রু’তে পরিণত হয়ে যান টেনিস কিংবদন্তি। আর তাই সার্বিয়া ছেড়ে গ্রিসে পাড়ি জমালেন জোকোভিচ।