হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর ম্যাচে বাংলাদেশের মাঝারি পুঁজি

প্রথম দুই ম্যাচে টসে হেরে আগে ফিল্ডিং করতে হয় টাইগারদের, দুটো ম্যাচেই হেরে যায় বাংলাদেশ। তবে তৃতীয় ম্যাচে এসে আজ (শুক্রবার) টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নামে লিটন দাসরা।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
তামিম-সাইফ ছাড়া দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পারেননি অন্য কোনো ব্যাটার
তামিম-সাইফ ছাড়া দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পারেননি অন্য কোনো ব্যাটার |সংগৃহীত

হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর মিশনে বড় পুঁজি তুলতে ব্যর্থ বাংলাদেশ। তানজিদ তামিমের ক্যারিয়ার সেরা ৮৯ রানের ইনিংসে কোনোরকমে দেড় শ’ (১৫১) পেরিয়েছে স্কোর। ব্যাট হাতে তামিম ছাড়া যথারীতি ব্যর্থ ছিলেন বাকি সবাই।

প্রথম দুই ম্যাচে টসে হেরে আগে ফিল্ডিং করতে হয় টাইগারদের, দুটো ম্যাচেই হেরে যায় বাংলাদেশ। তবে তৃতীয় ম্যাচে এসে আজ (শুক্রবার) টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নামে লিটন দাসরা।

একাদশে ৪ পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশ, বদল আসে উদ্বোধনী জুটিতেও। তানজিদ তামিমের সাথে ব্যাট করতে আসেন পারভেজ ইমন। তবে বড় হয়নি তাদের জুটি, ৩.১ ওভারে ২২ রানে ফেরেন ইমন (৯)।

তবে লিটন দাসকে নিয়ে দলকে টানতে থাকেন তামিম। দুজনের জুটিতে পাওয়ার প্লেতে আসে ৪০ রান। তবে এই যুগলবন্দীও বড় হয়নি, ২৬ বল থেকে আসে মাত্র ২২ রান। ৭.৩ ওভারে লিটন ফেরেন ৯ বলে ৬ রান করে।

এরপর সাইফ হাসানকে নিয়ে ফিফটি পূরণ করেন তামিম। আগের ম্যাচেও ফিফটি করা এই ব্যাটার ৩৬ বলে স্পর্শ করেন এই মাইলফলক। এদিকে পঞ্চাশ ছোঁয়ার পথে গড়েন ১ হাজার রানের মাইলফলক।

বাংলাদেশের হয়ে টি–টোয়েন্টিতে দ্রুততম এক হাজার রানের মাইলফলক তামিম। মাত্র ৪২ ইনিংসে চার অঙ্কের এই ঘরে পৌঁছান তিনি। আগের দ্রুততম ছিল তাওহিদ হৃদয়ের, ৪৫ ইনিংসে এক হাজার রান করেছিলেন হৃদয়।

এদিকে তামিম-সাইফ জুটিতে ১৪.১ ওভারে তিন অঙ্কে পৌঁছায় বাংলাদেশ। তবে এরপরই ফেরেন সাইফ, ২২ বলে ২৩ রানে শেষ হয় তার ইনিংস। এরপর খেই হারায় দল, দ্রুত হারায় আরো ৪ উইকেট।

রিশাদ হোসেন ১, নুরুল হাসান ৩, নাসুম আহমেদ ১ ও জাকের আলি আউট হন ৫ রান করে। তবে একপ্রান্ত ধরে রেখে রানের গতি ঠিক রাখেন তামিম। ছিলেন সেঞ্চুরিরর পথেই। তবে আশা পূর্ণ হয়নি।

তামিমের ৯ চার ৪ ছক্কার ইনিংস শেষ ওভারে এসে শেষ হয় ৬২ বলে ৮৯ রান করে। ১৯.১ ওভারে ১৪২ রানে ৮ উইকেট হারায় দল। পরের বলেই ফেরেন শরিফুল ইসলাম। শেষ দিকে তাসকিনের ৪ বলে ৯ রানে দেড় শ’ পেরোয় টাইগাররা।

২ উইকেটে ১৪.৩ ওভারে ১০৭ রান করা বাংলাদেশের শেষ ৩৩ বলে আসে ৪৪ রান, হারায় ৮ উইকেট! যেখানে ২৪ রানই তামিমের। এদিকে বল হাতে রোমারিও শেফার্ড ৩, খ্যারি পিয়েরে ও জেসন হোল্ডার নেন ২টি করে উইকেট।