আজ শুরু হচ্ছে বিপিএল মহাযজ্ঞ

উদ্বোধনী ম্যাচে বেলা ৩টায় মুখোমুখি হবে সিলেট টাইটান্স ও রাজশাহী ওয়ারিয়র্স। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে স্টেডিয়ামে গড়াবে খেলা।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
বিপিএল মহাযজ্ঞ
বিপিএল মহাযজ্ঞ |নয়া দিগন্ত

শুরু হয়েছে দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় প্রতিযোগিতা। বসতে যাচ্ছে চার-ছক্কার রমরমা হাট। ভিন্ন এক আমেজে উৎসবে মেতে উঠবে গোটা ক্রিকেট পাড়া। ঐক্যের সুর ছেড়ে দেখা দেবে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা। লড়াইটা শিরোপার; বিপিএল ট্রফিতে চুমু আঁকার।

আজ (শুক্রবার) পর্দা উঠছে বিপিএলের দ্বাদশতম আসরের। উদ্বোধনী ম্যাচে বেলা ৩টায় মুখোমুখি হবে সিলেট টাইটান্স ও রাজশাহী ওয়ারিয়র্স। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে স্টেডিয়ামে গড়াবে খেলা।

৬ দলের অংশগ্রহণে দেশের ৩ ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে মোট ৩৪ ম্যাচ। ফাইনাল ২৩ জানুয়ারি। মিরপুর তো বটেই, সিলেট ও চট্টগ্রামেও ব্যাটে-বলে মুন্সিয়ানা দেখাবেন ক্রিকেটাররা। এখান থেকেই বেরিয়ে আসবে নতুন কোনো তারকা।

জানা যায়, এবারের অংশগ্রহণকারী দল হলো ৬টি। ঢাকা ক্যাপিটালস, রাজশাহী ওয়ারিয়র্স, রংপুর রাইডার্স, সিলেট টাইটান্স, নোয়াখালী এক্সপ্রেস ও চট্টগ্রাম রয়্যালস।

এবারের আসরটি বিপিএলের ১২তম প্রতিযোগিতা। ২০১২ সাল থেকে হয়ে আসছে এ শিরোপার লড়াই। যেখানে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সফল দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। সর্বাধিক ৪ বার শিরোপা উল্লাস করেছে তারা।

যদিও রাজনৈতিক কারণে এবারের আসরে নেই ভিক্টোরিয়ান্সরা। নেই ২ বারের চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল ও খুলনা টাইগার্সও। শিরোপাজয়ী দলের মাঝে আছে কেবল ২০১৭ আসরের চ্যাম্পিয়ন রংপুর।

নানা ইস্যুতে টুর্নামেন্ট মাঠে গড়ানোর আগে বরাবরই সমালোচনায় থাকে বিপিএল। দফায় দফায় তা বদলানোর আশ্বাস দিলেও এখনো তা পূরণ হয়নি। পূরণ হয়নি এবারও, নানা নাটকীয়তাই ঘটে গেছে আসর শুরুর আগের দিন।

বৃহস্পতিবার সকালে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের কাছে আত্মসমর্পণ করে চট্টগ্রাম রয়্যালস ফ্রাঞ্চাইজি। এক চিঠিতে তারা জানায়, দল পরিচালনা করতে অপারগ তারা। অবস্থা বিবেচনায় দ্রুত দলটার দায়িত্ব নেয় বিসিবি।

যেখানে দলটির টিম ডিরেক্টর হিসেবে দেখা যাবে হাবিবুল বাশার সুমনকে। এছাড়া প্রধান কোচ মিজানুর রহমান বাবুল ও ম্যানেজার হিসেবে নাফিস ইকবাল দায়িত্ব সামলাবেন। তবে বিদেশী ক্রিকেটার পাওয়া নিয়ে আছে শঙ্কা। মাত্র দু’জন বিদেশী যোগ দিয়েছেন দলে।

অন্যদিকে আরেক আলোচিত দল নোয়াখালী এক্সপ্রেসকে নিয়েও দেখা দেয় সমস্যা। রাগ করে অনুশীলন ছেড়ে চলে যান দুই কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন ও তালহা জুবায়ের। যদিও বিসিবি’র সহায়তায় আবারো দলের দায়িত্বে ফিরেছেন তারা।

সেসব কাণ্ড দূরে ঠেলে এবার চোখ দেয়া যাক মাঠের ক্রিকেটে। যেখানে ব্যাট হাতে রাজত্ব তামিম ইকবালের। সর্বোচ্চ ৩,৮৩৫ রান তার। তার ঠিক পেছনেই ৩,৪৪৬ রান নিয়ে আছেন মুশফিকুর রহিম। তাছাড়া এনামুল হক বিজয় ২,৭৭৬ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের রান ২,৭২৬।

বল হাতে সর্বোচ্চ ১৪৯ উইকেট সাকিব আল হাসানের। তিনি ছাড়া আর তিন অঙ্কের ঘর ছুঁয়েছেন আর মাত্র তিনজন। তাসকিন আহমেদ নিয়েছেন ১২৭ উইকেট। রুবেল হোসেনের শিকার ১১০ ও মোস্তাফিজুর রহমান নিয়েছেন ১০৫ উইকেট।

এবারের আসরে উল্লেখিত সবারই রান-উইকেট বাড়ানোর সুযোগ থাকলেও নেই সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, এনামুল হক বিজয় ও রুবেল হোসেনের।

বিপিএলের চার বারের টুর্নামেন্ট সেরা সাকিব আল হাসান টানা দ্বিতীয়বার খেলছেন না বিপিএলে। রাজনৈতিক পালাবদলের পর নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা থাকায় দেশে আসছেন না তিনি।

অন্যদিকে তামিম ইকবাল ও রুবেল এবার বিপিএল থেকে নাম সরিয়ে নিয়েছেন আগেই। আর এনামুল হক বিজয় ফিক্সিং ইস্যুতে এবার নিষেধাজ্ঞায় আছেন বিসিবি’র।

এদিকটায় আগের ১১ আসরে চারবার টুর্নামেন্ট সেরা হয়েছেন সাকিব আল হাসান। এছাড়া মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আসহার জাইদি, নাজমুল হোসেন শান্ত, ক্রিস গেইল, আন্দ্রে রাসেল, মেহেদী মিরাজ ও তামিম ইকবাল একবার করে জিতেছেন আসর সেরার পুরস্কার।