টানা দুই ম্যাচ হেরে সিরিজ হাতছাড়া করেছিল আগেই, শনিবার শেষ ম্যাচটাও হেরে গেছে ইংল্যান্ড। তাতে নিউজিল্যান্ডের কাছে হোয়াইট ওয়াশ হয়েছে থ্রি লায়ন্সরা। ফুরালো কিউইদের চার দশকের অপেক্ষা।
এর আগে ১৯৮৩ সালে ইংলিশদের বিপক্ষে সিরিজের সবগুলো ম্যাচ জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। ৪২ বছর পর ইংল্যান্ডকে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করতে পারল তারা। সব মিলিয়ে মাত্র দু’বার ঘটলো। এমন ঘটনা।
শনিবার তৃতীয় ওয়ানডেতে হ্যারি ব্রুকদের ২ উইকেটে হারিয়ে ইংলিশদের বিপক্ষে দ্বিতীয় হোয়াইটওয়াশ আদায় করে নিল মিচেল স্যান্টনাররা। ২২৩ রানের লক্ষ্য ৩২ বল হাতে রেখেই জিতেছে নিউজিল্যান্ড।
ওয়েলিংটনে আগের দুই ম্যাচের মতো কিউইদের পেস তোপে ধস নামে ইংল্যান্ডের ইনিংসে। ৯৭ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলা দলটি লড়াইয়ের পুঁজি পায় জেমি ওভারটনের সৌজন্যে। ৬২ বলে ৬৮ রান করেন তিনি।
বাকিদের মাঝে জস বাটলার ৩৮ ও ব্রাইডন কার্স ৩৬ রান করেন। ইংল্যান্ডের হয়ে ব্লেয়ার টিকনার ৪ ও জ্যাবব ডাফি নেন ৩ উইকেট।
রান তাড়ায় ভালো শুরু পায় কিউইরা। ওপেনার ডেভন কনওয়ে ও রাচিন রবীন্দ্র মিলে ৭৮ রানের জুটি গড়েন। তবে কনওয়ে ৩৪ রানে দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউট হলে ভাঙে সেই জুটি। একটু পর ফেরেন রাচিনও (৪৬)।
দ্রুত ফেরেন তিনে নামা উইল ইয়াং (১) ও টম লাথাম (১০)। ১১৩ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর ডেরিয়েল মিচেল একপাশ আগলে খেলতে থাকলেও অন্যপ্রান্তে উইকেট পড়তে থাকে অনবরত।
একসময় তাদের স্কোর ছিল ১৯৬ রানে আট উইকেট। মিচেল আউট হন ৪৪ রান নিয়ে। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ তাতে যেন ইংল্যান্ডের হাতেই চলে যায় অনেকটা। কিন্তু সেখান থেকে দলকে উদ্ধার মরেন জাকারি ফোকস ও ব্লেয়ার টিকনার।
দুজনে গড়েন ম্যাচ জেতানো জুটি। ৩৭ বলে অবিচ্ছিন্ন ৩০ রানে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন তারা। দুই উইকেট হাতে রেখে জিতে যায় নিউজিল্যান্ড। ফোকস ২৪ বলে ১৪ ও টিকনার ২০ বলে ১৮ রানে অপরাজিত থাকেন।



