অবসর ভেঙে ফেরার পর রানের দেখা পেলেও ইনিংস বড় করতে পারছিলেন না কুইন্টন ডি কক। তবে এবার তুলে নিলেন সেঞ্চুরি। সুবাদে পাকিস্তানের বিপক্ষে তার দল দক্ষিণ আফ্রিকাও পেল দাপুটে এক জয়। আর এই জয়ে সিরিজে ফিরল সমতা।
বৃহস্পতিবার ফয়সালাবাদে তিন ম্যাচের সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৮ উইকেটে জয় পেয়েছে সফরকারীরা। প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক পাকিস্তান জেতায় সিরিজ এখন ১-১।
শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে নয় উইকেট হারিয়ে ২৬৯ সংগ্রহ পায় পাকিস্তান। জবাবে মাত্র দুই উইকেট হারিয়ে ৫৯ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ম্যাথু ব্রিৎজকের দল। ১১৯ বলে ১২৩ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা ডি কক।
টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে বড় ধসের মুখে পড়ে পাকিস্তান। ২২ রানেই ৩ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ফখর জামান (০), বাবর আজম ১১ ও মোহাম্মদ রিজওয়ান ৪ রান করে আউট হন।
এরপর সালমান আগাকে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন সাইম আইয়ুব। চতুর্থ উইকেটে ৯২ রান যোগ করেন তারা। ৬৬ বলে ৫৩ রান করে সাইম আউট হলে ভাঙে জুটি। একটু পর ফেরেন হোসাইন তালাতও (১০)।
৩০ ওভারে দলীয় ১৩০ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় পাকিস্তান। তবে একপ্রান্ত আগলে রাখা সালমান ও মোহাম্মদ নাওয়াজের ফিফটিতে সেখান থেকে লড়াকু সংগ্রহ পায় তারা। সালমান করেন ১০৬ বলে ৬৯ রান।
নাওয়াজের ব্যাটে আসে ৫৯ বলে ৫৯ রান। এছাড়া শেষ দিকে দ্রুত রান তোলেন (১৮ বলে ২৮) ফাহিম আশরাফ। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৪ উইকেট নেন বার্গার। ৩ উইকেট নেন পিটার ও করভিন বশ নেন ২ উইকেট।
রান তাড়ায় দারুণ শুরু পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। লুহান-দ্রে প্রিটোরিয়াস-কুইন্টন ডি ককের উদ্বোধনী জুটি থেকে আসে ৮১ রান। ৪০ বলে ৪৬ করা প্রিটোরিয়াস ফিরলে ভাঙে এই জুটি।
এরপর পাকিস্তানের বোলারদের পিটিয়ে লক্ষ্যের দিকে ছুটতে থাকে প্রোটিয়ারা। স্বাগতিক বোলারদের ছাতুপেটা করে সেঞ্চুরি করেন ডি কক। অবসর ভেঙে ফেরা বাঁ হাতি এই ব্যাটারের যা ওয়ানডে ২২তম শতক।
দল যখন জয় থেকে ৩৬ রান দূরে, দ্বিতীয় উইকেটে ডি কক-টনি ডি জর্জির জমে যাওয়া জুটি ভাঙেন ফাহিম আশরাফ। শেষ হয় তাদের ১৫৩ রানের জুটি। ৬৩ বলে ৭৬ করেন জর্জ।
এরপর ম্যাথু ব্রিটৎজকে নিয়ে বাকি কাজটুকু সারেন ডি কক। বড় জয় পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রোটিয়াদের যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়ায় জয়।