আলোচনাতেই ছিলেন না সাইফ হাসান। চার বছর ধরে ছিলেন না জাতীয় দলের ধারেকাছেও। তবে হঠাৎ যেন সব বদলে যায়, সুযোগ মেলে এশিয়া কাপে। আর সুযোগ পেয়েই বাজিমাত, বনে গেলেন নায়ক।
নাইম শেখকে নিয়েই সাজানো হচ্ছিলো এশিয়া কাপের পরিকল্পনা। তবে পরপর ব্যর্থ হওয়ায় নেদারল্যান্ডস সিরিজে ডাক পড়ে সাইফের। আর তাওহীদ হৃদয়ের অনুপস্থিতিতে ঢুকে পড়েন একাদশেও।
সুযোগ হাতছাড়া করেননি, ১৯ বলে ৩৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিনি। কেড়ে নেন আলো। সুবাদে সুযোগ মেলে এশিয়া কাপের দলে। তবে প্রথম দুই ম্যাচে একাদশে জায়গা হয়নি।
সুযোগ মেলে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে। দলের প্রয়োজন মেটাতে করেননি কার্পণ্য, তার ২৮ বলে ৩০ রানের ইনিংসটা দলকে এনে দেয় ভালো ভিত। যেখানে ভর করে ম্যাচটা জিতে যায় বাংলাদেশ।
তবে আসল কাজটা করলেন শনিবার, সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে। দুবাইয়ে শ্রীলঙ্কার দেয়া ১৬৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভিত গড়ে দেন সাইফ হাসান। খেলেন ৪৫ বলে ৬১ রানের ইনিংস।
সাইফ তার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি তুলেন ৩৫ বলে। যা দলকে দেখায় পথ। যেই পথ ধরে দলকে জেতান তাওহীদ হৃদয়। তিনি করেন ৩৭ বলে ৫৮ রান। আর বাংলাদেশ ম্যাচটা জেতে ৪ উইকেটে।
এই নিয়ে জাতীয় দলের জার্সিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দ্বিতীয়বার ব্যাট উঁচিয়ে ধরেন সাইফ হাসান। আগের ফিফটি এশিয়ান ম্যানস টি-টোয়েন্টিতে। যেখানে মালেশিয়ার বিপক্ষে করেন ৫২ বলে ৫০।
যাহোক, সাইফের এমন পারফরম্যান্স তাকে এনে দেয় জাতীয় দলের জার্সিতে প্রথমবার ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
সাইফ এ সব কিছুই করেছেন তার ‘নানাবাড়ি’ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে! সাইফের বাবা বাংলাদেশী হলেও মা ছিলেন শ্রীলঙ্কান। সে মায়ের দেশের বিপক্ষেই ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংসটা খেললেন।