আইএল টি-টোয়েন্টি

ভুলে যাবার মতো অভিষেক সাকিবের, ছিলেন ব্যাটে-বলে ব্যর্থ

৮৪ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর উইকেটে আসেন সাকিব। তবে সুবিধা করতে পারছিলেন না তিনি। ফলে ১৬ ওভার শেষে তাকে তুলে নেয় দল। ফেরার সময় ২ চারে ১২ বলে ১৬ রানে অপরাজিত ছিলেন সাকিব।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
আইএল টি-টোয়েন্টিতে এমিরেটসের জার্সিতে অভিষেক ম্যাচে সাকিব
আইএল টি-টোয়েন্টিতে এমিরেটসের জার্সিতে অভিষেক ম্যাচে সাকিব |নয়া দিগন্ত

প্রথম ম্যাচে একাদশে ঠাঁয় মেলেনি, দ্বিতীয় ম্যাচে সুযোগ হলেও তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছেন সাকিব আল হাসান। আইএল টি-টোয়েন্টিতে অভিষেকটা ভুলেই যেতে চাইবেন বাংলাদেশী এই অলরাউন্ডার।

রোববার (৭ ডিসেম্বর) আইএল টি-টোয়েন্টিতে এমআই এমিরেটসের জার্সিতে অভিষেক হয় সাকিবের। তবে প্রথম ম্যাচে ব্যাটিং-বোলিং কোনোটাই ভালো হয়নি তার। তবে ম্যাচ জিতেছে তার দল।

শারজাহ ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে টস হেরে আগে ব্যাট করে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৮৫ রান সংগ্রহ করে এমিরেটস। জবাবে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮১ রানের বেশি করতে পারেনি শারজাহ। ৪ রানের জয় পায় সাকিবের দল।

ব্যাট হাতে দুই ওপেনার জনি বেয়ারেস্ট্রো ও মোহাম্মদ ওয়াসিম দুর্দান্ত শুরু এনে দেন এমিরেটসকে। ২৪ বলে ৩৭ রান করে বেয়ারেস্ট্রো ফিরলে ভাঙে ৫৬ রানের উদ্বোধনী জুটি। আরেক ওপেনার ওয়াসিম করেন ২৯ বলে ৩৯ রান।

তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি নিকোলাস পুরান। ১২ বল খেলে মাত্র ৫ রান করে এই ব্যাটার। ৮৪ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর উইকেটে আসেন সাকিব। তবে সুবিধা করতে পারছিলেন না তিনি। ফলে ১৬ ওভার শেষে তাকে তুলে নেয় দল।

ফেরার সময় ২ চারে ১২ বলে ১৬ রানে অপরাজিত ছিলেন সাকিব। তার বদলে নেমে অবশ্য দ্রুত ফেরেন কাইরন পোলার্ড (৪)। তবে শেষদিকে রোমারিও শেফার্ড দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন। ১০ বল খেলে ৩১ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি।

এ ছাড়া টম ব্যান্টনের ২১ বলে ৩২ রান ও তাজিন্দার সিংয়ের ৮ বলে ১৭ রানে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পায় দল।

প্রতিপক্ষ শারজাহ শিবিরে ছিলেন বাংলাদেশের তাসকিন আহমেদ। তবে একাদশে সুযোগ হয়নি তার।

১৮৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি শারজাহর। ৪৮ রানেই তিন উইকেট হারায় তারা। তবে মিডল অর্ডারে দুর্দান্ত জুটি গড়েন সিকান্দার রাজা ও টম কোলেরক্যাডোমোর। ৫৯ বলের জুটিতে যোগ করেন ১০৩ রান।

যেভাবে এগোচ্ছিল তাতে মনে হয়েছিল সহজেই জয় পাবে শারজাহ। তবে ১৫.৩ ওভারে ৩৩ বলে ৬৪ রান করা রাজাকে ফেরালে পথ হারায় দলটা। শেষ ২৭ বলে ৩৫ রানের সমীকরণ মেলাতে পারেনি শারজাহ।

শেষ ওভারে ১১ রানের প্রয়োজন মেটাতে পারেননি দীনেশ কার্তিক, আদিল রাশিদরা। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন রোমারিও শেফার্ড। ম্যাচ সেরার পুরস্কারও উঠে তার ঝুলিতে।

সাকিব এদিন দুই ওভার বোলিং করেন, তবে বল হাতেও ছিলেন নিস্প্রভ। ২৭ রান দিয়ে কোনো উইকেটের দেখা পাননি তিনি। ফলে পরে আর তাকে বোলিংয়েও আনা হয়নি।