চলতি বছর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দারুণ পারফরম্যান্স করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ২০২৫ সালে টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ৩০ ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। পাশাপাশি সর্বোচ্চ ১৫ ম্যাচ জয়ের রেকর্ডও গড়েছে তারা। আগামী বছরের বিশ্বকাপের আগে টি-টোয়েন্টিতে এমন রেকর্ড দলকে উজ্জীবিত করবে।
চলতি বছর বাংলাদেশের পারফরমেন্সের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল- ছক্কা মারায় পারদর্শিতা দেখানো। প্রথমবারের মতো এক বছরে ২০০ ছক্কার মারার নজির গড়েছে তারা। এ বছর ২০৬টি ছক্কা মেরেছে বাংলাদেশের ব্যাটাররা। এর আগে ২০২৩ সালে সর্বোচ্চ ছক্কা হাঁকিয়েছিল লিটন-হৃদয়রা। ওই বছর ১২২টি ছক্কা ছিল টাইগারদের ব্যাটে।
পাওয়ার হিটিংয়ে দক্ষতা বাড়ায় ছক্কা মারার সাথে সাথে স্ট্রাইক রেটও বেড়েছে বাংলাদেশ ব্যাটারদের। এ বছর বাংলাদেশ ব্যাটারদের গড় স্ট্রাইক রেট ১২৫.৯৭। যা টি-টোয়েন্টিতে এক বছরে বাংলাদেশ ব্যাটারদের সর্বোচ্চ স্ট্রাইক রেট।
২০২৪ সালের মে মাসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয় তানজিদ হাসান তামিমের। এ বছরে দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছেন তিনি। ২০২৫ সালে ২৭ ইনিংসে ৪১টি ছক্কা মেরেছেন তিনি। যা বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ।
উদ্বোধনী জুটিতে তানজিদের সঙ্গী পারভেজ হোসেন ইমন ৩৪টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন। সেই সাথে সাইফ হাসান এবং লিটন দাস যথাক্রমে- ২৯টি এবং ২৩টি ছক্কা মেরেছেন।
এক বর্ষপঞ্জিকায় বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডও গড়েছেন তানজিদ। ২৭ ইনিংসে ১৩৫.২৫ স্ট্রাইক রেটে ৭৭৫ রান করেছেন তিনি।
তানজিদের দুর্দান্ত পারফরমেন্সে বাংলাদেশের টপ-অর্ডার ধারাবাহিক হয়ে ওঠে, যা এ বছর বাংলাদেশের সাফেল্যের পেছনে বড় অবদান রাখে।
এ বছরও বাংলাদেশের চিন্তার বড় কারণ হয়ে আছে মিডল অর্ডার। জাকের আলী অনিক, শামীম পাটোয়ারি, তাওহিদ হৃদয় এবং নুরুল হাসানের মতো বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়রা সুযোগ পাবার পরও নিজেদের সামর্থ্য প্রমাণ করতে পারেননি। মাঝে মাঝে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠলেও ধারাবাহিক হতে পারেননি তারা। সর্বশেষ শেষ হওয়া আয়ারল্যান্ড সিরিজেও মিডল অর্ডার ব্যাটারদের ব্যর্থতা চোখে পড়ার মতো ছিল।
বোলিং বিভাগে ধারাবাহিকভাবে ভালো করেছে বাংলাদেশ। বিশেষ করে স্পিনার রিশাদ হোসেনের পারফরমেন্স ছিল চোখে পড়ার মতো। ২৫ ম্যাচে ৮.২৫ স্ট্রাইক রেটে ৩৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি অন্য দুই স্পিনার মাহেদি হাসান ও নাসুম আহমেদও দলের জন্য নিজেদের সেরাটা দিয়েছেন। মাহেদি ২২ ও নাসুম ১৫ উইকেট নিয়ে দলের জয়ের গুরুত্বপূর্ণ রাখেন।
পেস আক্রমণে বাংলাদেশের পক্ষে সেরা ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। বিশেষ করে ডেথ ওভারে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন তিনি। চলতি বছর ৬.০৯ ইকোনমি রেটে ২৬ উইকেট শিকার করেছেন ফিজ। এছাড়া তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম এবং তানজিম হাসান সাকিবও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তাসকিন ২৪, তানজিম ২৩ ও শরিফুল ১৭ উইকেট শিকার করেছেন।



