রাইজিং স্টার এশিয়া কাপের শিরোপা হাতের নাগালেই ছিল, ২ বল থেকেই বাংলাদেশ ৬ রান পেরিয়ে গিয়েছিল। শুধু প্রয়োজন ছিল শেষ ৪ বল দেখেশুনে আরো কিছু রান বের করে নিয়ে আসার— তবে তা পারেনি টাইগাররা।
গত পরশু (শনিবার) কাতারে রাইজিং স্টারস এশিয়া কাপ ফাইনালে পাকিস্তান ‘এ’ দলের বিপক্ষে সুপার ওভারে হেরে যায় বাংলাদেশ ‘এ’ দল। আকবর আলীদের দেয়া ৭ রানের লক্ষ্য যা পাকিস্তান ৪ বলেই পেরিয়ে যায়, জিতে যায় শিরোপা।
শিরোপা হাতছাড়া হবার পর থেকেই সমালোচকদের কাঠগড়ায় ক্রিকেটাররা। তাদের শিশুতোষ সব সিদ্ধান্ত আর ভুল দেখে হতাশ তারা। প্রশ্ন তুলছেন, এভাবেও হারা যায়? এর মাঝেই সোমবার মাঝরাতে দেশে ফিরেছে আকবরের দল।
এমতাবস্থায় বিমানবন্দরেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হতে হয় তাদের। যেখানে নিজেদের ভুল স্বীকার করে অধিনায়ক আকবর আলী বলেন, ফাইনালে সুপার ওভার হারের পেছেন দায়ী অনভ্যস্ততা।
যদিও আগের ম্যাচেই সুপার ওভারে জিতেছিল বাংলাদেশ। ভারতের বিপক্ষে সেমিফাইনালে রিপন মণ্ডলের দারুণ বোলিংয়ে জয় পায় আকবররা। ফলে প্রশ্ন ছিল- দ্বিতীয় ম্যাচে কেন সুপার ওভারের চাপ নিতে পারল না দল?
এই প্রসঙ্গে আকবর বলেন, ‘সুপার ওভারে কোনো দলই অভ্যস্ত নয়, সুপার ওভার হয়ই কালেভদ্রে। টানা দুইটা ম্যাচে সুপার ওভার খেলার ঘটনা কমই ঘটে। সুপার ওভারে হাইরিস্ক শটই খেলতে হয়, অনেক সময় ক্লিক করে, অনেক সময় করে না। আমি এভাবেই দেখছি ব্যাপারটাকে।’
সেদিন সুপার ওভারের ব্যাটসম্যানদের সমন্বয় নিয়ে আকবর বলেন, ‘সুপার ওভারে সোহানকে পাঠানো কারণ হলো পুরো টুর্নামেন্টে ও আমাদের সেরা ব্যাটসম্যান ছিল। আর সাকলাইন আবদুল গাফফার ওই ম্যাচে অনেক ভালো টাচে ছিল।’
আকবর আরো বলেন, সুপার ওভারের খেলাটাই মূলত ঝুঁকি নেয়ার। ভারতীয় দলের কথা বলুন বা আমাদের কথা কিংবা পাকিস্তানি দলের কথা বলুন, সুপার ওভারে যারাই যাবে, শট খেলতে হবে। ওখানে আপনাকে হাইরিস্ক শটই খেলতে হয়। অনেক সময় দেখা যায়, ক্লিক করে। অনেক সময় করে না। আমি এভাবেই দেখছি ব্যাপারটা।’



