বাবার হঠাৎ অসুস্থতায় স্থগিত হয় বিয়ে, এবার স্মৃতির হবু স্বামীও হাসপাতালে

‘মেডিক্যাল টিমের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন তিনি। শারীরিক অবস্থার অগ্রগতি হলে হয়তো সোমবারই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হতে পারে তাকে।’

নয়া দিগন্ত অনলাইন
বাবা ও হবু বরের সাথে আলাদা ফ্রেমে স্মৃতি মান্ধানা
বাবা ও হবু বরের সাথে আলাদা ফ্রেমে স্মৃতি মান্ধানা |সংগৃহীত

বিয়েবাড়িতে আবারো বিপর্যয়! রোববার ভারতের বিশ্বজয়ী নারী ক্রিকেটার স্মৃতি মন্ধানার বিয়ের কয়েক ঘণ্টা আগে আচমকা হৃদরোগে আক্রান্ত হন তার বাবা। দ্রুত তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত রাখা হয় বিবাহ অনুষ্ঠানও। এবার রাত পোহাতে না পোহাতেই আরো এক বিপর্যয়ের খবর। বাবার পর এবার হাসপাতালে স্মৃতির হবু স্বামী পলাশও।

সোমবার (২৪ নভেম্বর) ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার কারণে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ‘সুরকার পাত্র’ পলাশ মুচ্ছলকে। ভাইরাল ইনফেকশন এবং অ্যাসিডিটির কারণে হাসপাতাল যেতে হয়েছিল তাকে। তবে সমস্যাটি গুরুতর নয়। চিকিৎসার পর, তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যেই হাসপাতাল থেকে হোটেলে ফিরেছেন পলাশ।

রোববার যখন সবাই বিয়ের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত, তখন আচমকাই হৃদরোগে আক্রান্ত হন স্মৃতির বাবা শ্রীনিবাস মান্ধানা। সাথে সাথে তাকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে সাঙ্গলির একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তার শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল। এই মুহূর্তে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তিনি।

তাদের পারিবারিক চিকিৎসক ডা: নমন শাহ জানিয়েছেন, মেডিক্যাল টিমের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন তিনি। শারীরিক অবস্থার অগ্রগতি হলে হয়তো সোমবারই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হতে পারে তাকে।

একটি সংবাদ সংস্থাকে তিনি বলেন, রোববার দুপুর দেড়টা নাগাদ শ্রীনিবাস মন্ধানার বুকের বাম দিকে ব্যথা হয়। একে চিকিৎসার পরিভাষায় আমরা ‘এনজাইনা’ বলি। এমন উপসর্গ দেখে তার ছেলে ফোন করে। সাথে সাথে অ্যাম্বুল্যান্স পাঠিয়ে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ইসিজি এবং অন্যান্য রিপোর্টে দেখা গেছে- কার্ডিয়াক এনজাইমগুলো বৃদ্ধি পেয়েছে। তাছাড়া রক্তচাপও বৃদ্ধি পেয়েছে। তা কমানোর চেষ্টা চলছে। পরিস্থিতি আরো খারাপ হলে অ্যাঞ্জিওগ্রাফি করতে হতে পারে।

উল্লেখ্য, বিশ্বজয়ী ক্রিকেটারের বিয়ে নিয়ে উৎসবে মেতে উঠেছিলেন সকলে। কিন্তু আচমকাই সব তালগোল পাকিয়ে গেল। এখন শ্রীনিবাস মান্ধানার দ্রুত আরোগ্য কামনা করছেন আসমুদ্রহিমাচল।