পাকিস্তানের কাছে হেরে ফাইনাল খেলার স্বপ্ন ভঙ্গ বাংলাদেশের

টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) পাকিস্তানের কাছে ৮ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
প্রতীকী ছবি

ব্যাটিং ব্যর্থতায় টানা তৃতীয়বার অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ ক্রিকেটের ফাইনাল খেলার স্বপ্ন ভঙ্গ হলো গত দুই আসরের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের।

টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) পাকিস্তানের কাছে ৮ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। এই জয়ে দীর্ঘ আট বছর পর যুব এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠল পাকিস্তান। ২০১৭ সালে সর্বশেষ ফাইনাল খেলেছিল দলটি।

দুবাইয়ে সেভেনস স্টেডিয়ামে বৃষ্টি ও ভেজা আউটফিল্ডের কারণে ম্যাচ শুরু হতে দেরি হয়। ফলে ৫০ ওভারের পরিবর্তে ২৭ ওভারে নামিয়ে আনা ম্যাচে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। দলকে ২৪ রানের সূচনা এনে দিয়ে সাজঘরের পথ ধরেন দুই ওপেনার ইনফর্ম জাওয়াদ আবরার ও রিফাত বেগ। আবরার ৯ ও রিফাত ১৪ রান করেন।

দুই ওপেনারের বিদায়ের পর ৩১ রানের জুটি গড়েন বাংলাদেশ অধিনায়ক আজিজুল হাকিম ও কালাম সিদ্দিকী। ১৩তম ওভারের প্রথম বলে আজিজুল আউট হলে তৃতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ১টি করে চার-ছক্কায় ২৬ বলে ২০ রান করেন বাংলাদেশ দলনেতা।

দলীয় ৫৫ রানে তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে আজিজুল ফেরার পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

এতে ১০৬ রানে নবম উইকেট পতন হয় বাংলাদেশের। এসময় ছয় ব্যাটারের কেউই দুই অংকে পা রাখতে পারেননি।

শেষ উইকেটে ইকবাল হোসেন ইমনকে নিয়ে বাংলাদেশকে সম্মানজনক সংগ্রহ এনে দেয়ার চেষ্টা করেন সামিউন বশির। জুটিতে ১৫ রান যোগ হওয়ার পর ২৭তম ওভারের তৃতীয় বলে দলীয় ১২১ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।

শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হবার আগে ১টি করে চার-ছক্কায় ৩৭ বলে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন সামিউন।

পাকিস্তানের পেসার আব্দুল সুবহান ২০ ওভারে ৪ উইকেট নেন।

পাকিস্তানকে ১২২ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়ে প্রথম ওভারেই উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। ওভারের শেষ বলে পাকিস্তান ওপেনার হামজা জহুরকে খালি হাতে ফিরিয়ে দেন বাংলাদেশ পেসার ইমন।

দ্বিতীয় উইকেটে ৮৫ রানের জুটিতে পাকিস্তানের জয়ের ভিত গড়ে দেন আরেক ওপেনার সামির মিনহাস ও উসমান খান। দলীয় ৮৬ রানে উসমানকে শিকার করে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় সাফল্য এনে দেন বাঁ-হাতি স্পিনার বশির। ২৭ রান করেন উসমান।

এরপর ৩৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে পাকিস্তানের জয় নিশ্চিত করেন মিনহাস ও আহমেদ হুসেন। ৬টি চার ও ২টি ছক্কায় মিনহাস অপরাজিত ৬৯ এবং হুসেন ১১ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন।

বাংলাদেশের ইমন ২৬ রানে এবং বশির ১৭ রানে ১টি করে উইকেট নেন।

সূত্র : বাসস