বিসিবি সভাপতি ও ক্রীড়া উপদেষ্টার বিরুদ্ধে তামিমের বড় অভিযোগ

নির্বাচন নিয়ে টালমাটাল ক্রিকেটপাড়া

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আসন্ন নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা আগেই দিয়েছেন তামিম ইকবাল। যেখানে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বিসিবি’র বর্তমান সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের বিপক্ষে।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
তামিম ইকবাল ও আমিনুল ইসলাম বুলবুল
তামিম ইকবাল ও আমিনুল ইসলাম বুলবুল |ফাইল ছবি

সময় যত সামনে আসছে, তত উত্তেজনা ছড়াচ্ছে বিসিবি নির্বাচন। উত্তপ্ত হয়ে উঠছে পরিস্থিতি। সরব হচ্ছেন প্রার্থীরা। তবে এর মাঝেই ঘটলো ভিন্ন এক ঘটনা, বিসিবি’র বর্তমান সভাপতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তামিম ইকবাল।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আসন্ন নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা আগেই দিয়েছেন তামিম ইকবাল। যেখানে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বিসিবি’র বর্তমান সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের বিপক্ষে।

ফলে বুলবুলের নানা কর্মকাণ্ড নিয়ে আগে থেকেই আলোচনা-সমালোচনায় মুখর তামিম ইকবাল। আর আজ রোববার সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন ইস্যুতে বিসিবি সভাপতির ভূমিকার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

বিসিবি সভাপতি ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন বলেও অভিযোগ করেছেন তামিম। এমনকি যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার প্রতিও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছেন জাতীয় দলের সাবেক এই ওপেনার।

তামিম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমাদের স্পোর্টস অ্যাডভাইজারকে আমি একটি কথাই বলেছিলাম—ভাইয়া, আমি আপনার কাছ থেকে কিছুই চাই না; আমি শুধু একটি বিষয়ই চাই, আর তা হলো একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হোক।’

‘এর বাইরে আমি তার কাছে কোনো দাবি করিনি, কিছুই চাইনি। কিন্তু তারপর থেকে আমরা যা দেখতে শুরু করেছি, কিংবা জেলা ও বিভাগে যা ঘটছে, এমনকি ক্লাব পর্যায়েও যা চলছে—সেগুলো ঠিকভাবে হচ্ছে না।’

বিসিবি সভাপতি কিছুদিন আগেই জানিয়েছিলেন তার বিসিবি নির্বাচন নিয়ে কোনো ধারণাই নেই। তবে তিনিই আবার কাউন্সিলর তালিকা সংক্রান্ত বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠাচ্ছেন। এটি তার বক্তব্যের সাথে সাংঘর্ষিক মনে করেন তামিম।

বলেন, ‘বুলবুল ভাই বলেছিলেন, নির্বাচন কেমন হয় এটা নিয়ে তার ধারণাই নেই। তিনি কিছুই জানেন না, তার ধারণা একদম শূন্য। তিনি যদি কিছু না জেনে থাকেন, আপনারা একটি চিঠি দেখেছেন না? তিনি সাইন করে বলেছেন আগের কাউন্সিলরদের বাদ দেয়া হবে।’

‘শুধুমাত্র অ্যাডহক কমিটি থেকে নেয়া হবে। নতুন করে আমরা ফরম পাঠাচ্ছি। যে চিঠিতে তিনি সাইন করেছেন। আগের সব চিঠিতে প্রধান নির্বাহীর সাইন করা। সংবিধান অনুযায়ী কমিটি গঠন হওয়ার পর তিনি কোথাও সাইন করতে পারবেন না। এই চিঠিতে সাইন করে তিনি কোন ক্ষমতাবলে ডিসিদের পাঠিয়েছেন?’

পরে তামিম জানান, ‘আমি শুধু স্বচ্ছ একটি নির্বাচন চাই, ফলাফল যাই হোক এতে আমার কোনো সমস্যা নেই। স্বচ্ছ নির্বাচন আমার চাওয়া, জিতি বা হারি তা পরের ব্যাপার।’

এদিকে, কাউন্সিলর মনোনয়নের শেষ দিন হিসেবে ধার্য করা হয়েছিল ১৭ সেপ্টেম্বর। পরে তা বাড়িয়ে ১৯ সেপ্টেম্বর করা হয়। পরবর্তী সময়ে তা আবারো বাড়ানো হয় ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

তবে তামিমের অভিযোগ— ’প্রথমবার তারিখ পেছানোর আবেদন ডিরেক্টর গ্রুপে বিষয়টি প্রস্তাব আকারে দেয়া হলে তিন-চারজন ডিরেক্টর এতে সম্মতি জানান। ফলে বিষয়টি ১৯ তারিখ পর্যন্ত গড়ায়।’

‘কিন্তু দ্বিতীয়বার যখন সময়সীমা বাড়ানো হলো, তখন বিসিবি প্রেসিডেন্ট ছাড়া আর কেউ—হ্যাঁ বা না—কোনো মতামতই দেননি। তিনি নিজের ইচ্ছাতেই সময়সীমা বাড়িয়ে দিলেন,’ যোগ করেন তামিম ইকবাল।

এদিকে, বিসিবি নির্বাচনে প্রার্থী হলেও এখনো সবধরনের ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেননি বাংলাদেশ দলের সাবেক এই অধিনায়ক। তবে তামিম নিশ্চিত করেছেন বিসিবি নির্বাচনে জয়ী হলে আর খেলবেন না তিনি।