বড় সংগ্রহের পথ ধরেছিল পাকিস্তান। মনে হচ্ছিলো হয়তো দুই শ’ পেরোবে স্কোর৷ ১২.৪ ওভারে ১ উইকেটে তুলে ফেলেছিল ১১৩ রান। তবে সেখান থেকে অবিশ্বাস্যভাবে ধস নামে ইনিংসে। গুটিয়ে যায় দেড় শ’র আগেই।
পুরো বিশ ওভারও খেলতে পারেনি পাকিস্তান, ১৯.১ ওভারে ১৪৬ রানে শেষ হয় পাকিস্তানের ইনিংস। মাত্র ৩৩ রানে হারায় ৯ উইকেট। যেন ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ নামের স্বার্থকতা প্রমাণ করলো তারা।
এইদিন শুরুটা দারুণ হয় পাকিস্তানের। ইতিহাসের সৃষ্টিকারী ফাইনালে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে পাওয়ার প্লেতেই তুলে ৪৫ রান। দুই ওপেনার সাহিবজাদা ফারহান ও ফখর জামান জ্বলে ওঠেন ব্যাট হাতে।
ভারতীয় বোলারদের তুলোধোনা করে মাত্র ৩৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ফারহান। হাফ সেঞ্চুরির পথে দুটি ছক্কা ও ৫টি চার মারেন পাকিস্তানের এই ওপেনার। তবে এরপর আর ইনিংস বড় করতে পারেননি।
৩৮ বলে ৫৭ রান করে বরুণ চক্রবর্তীর শিকার হয়ে ফেরেন ফারহান। তার বিদায়ে ৯.৪ ওভারে দলীয় ৮৪ রানে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। এরপর ফখর জামানকে বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি সাইম আইয়ুব।
গোটা টুর্নামেন্টের মতো ফাইনালেও ব্যর্থ তিনি। কুলদীপ যাদবের বলে ১১ বলে ১৪ রান করে ফিরেছেন সাইম। চারে নামা মোহাম্মদ হারিসও ব্যর্থ হয়েছেন। ২ বলে কোনো রান না করেই আউট হন তিনি।
থিতু হয়ে যাওয়া ফখরকে আউট করেছেন বরুণ। তাতেই শেষ পাকিস্তানের বড় ইনিংসের স্বপ্ন। ফখরের ব্যাট থেকে এসেছে ৩৫ বলে ৪৬ রানের ইনিংস। এরপর দ্রুত আউট হন হুসাইন তালাতও (১)।
১৩১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে পাকিস্তান। সেখান থেকে আর মাত্র ১৫ রান যোগ করতে পারে তারা। অধিনায়ক সালমান আগাকে (৮) টিকতে দেননি কুলদীপ। একই ওভারে আরো দুই উইকেট নেন কুলদীপ।
চতুর্থ বলে আফ্রিদিকে এলবিডব্লিউ করে ফেরান এই ভারতীয় স্পিনার। এরপর শেষ বলে ফাহিম আশরাফ ক্যাচ দেন তিলক ভার্মাকে। ১৩৫ রানে পাকিস্তান হারিয়ে ফেলে ৮ উইকেট। শাহিন আফ্রিদি ও ফাহিম আশরাফের কেউ রানের খাতা খুলতে পারেননি।
এরপর হারিস রউফ ও মোহাম্মদ নাওয়াজ ফেরেন সমান ৬ রান করে। দুজনকেই ফেরান বুমরাহ। ১৯.১ ওভারে শেষ হয় পাকিস্তানের ইনিংস। ৪ উইকেট নেন বুমরাহ, জোড়া উইকেট করে নেন বুমরাহ, বরুণ ও অক্ষর প্যাটেল।