তাইজুল-নাওয়াজকে টপকে নভেম্বরের সেরা হার্মার

পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে ভুল করেননি হার্মার, ‘আমার পরিবারকে এই পুরস্কার উৎসর্গ করছি। যারা আমাকে স্বপ্ন পূরণে ও অনেক সময় তারা বাড়িতে থেকে আমাকে দায়িত্ব পালনে সুযোগ করে দেয়।’

নয়া দিগন্ত অনলাইন
সতীর্থদের সাথে হার্মার
সতীর্থদের সাথে হার্মার |ক্রিকইনফো থেকে নেয়া ছবি

আইসিসি প্লেয়ার অব দ্য মান্থ অ্যাওয়ার্ডে নভেম্বরের সেরা হয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিনার সাইমন হার্মার। সেরা হবার পথে হার্মার পেছনে ফেলেছেন দুই স্পিনার বাংলাদেশের তাইজুল ইসলাম ও পাকিস্তানের মোহাম্মদ নাওয়াজকে।

এদিকে গত মাসে সেরা নারী ক্রিকেটার হয়েছেন ভারতের শেফালী ভার্মা। থাইল্যান্ডের থিপাচা পুথাওং এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের এশা ওঝাকে টপকে সেরার স্বীকৃতি জিতেছেন শেফালী।

গত মাসের সেরা পুরুষ ও নারী ক্রিকেটারের নাম আজ ঘোষণা করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।

গেল মাসে ভারতের মাটিতে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ৮.৯৪ গড় ও ১.৯১ ইকোনমি রেটে ১৭ উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী ছিলেন ডান হাতি অফ-স্পিনার হার্মার। তার অসাধারণ বোলিং নৈপুণ্যে ২৫ বছর পর ভারতের মাটিতে টেস্ট সিরিজ জয়ের স্বাদ পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। দুই ম্যাচের সিরিজে ভারতকে হোয়াইটওয়াশ করে প্রোটিয়ারা।

ভারতের বিপক্ষে কলকাতা টেস্টে ৮ এবং গৌহাটি টেস্টে ৯ উইকেট শিকার করেন হার্মার। দুর্দান্ত বোলিং পারফরমেন্সে সিরিজ সেরার পুরস্কারও জিতে নেন তিনি। এবার আইসিসির মাস সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও জিতলেন হার্মার। মাস সেরা হবার পর নিজের প্রতিক্রিয়ায় হার্মার বলেন, ‘নভেম্বর মাসে আইসিসির সেরা খেলোয়াড় হওয়াটা আমার জন্য গর্বের। দেশের হয়ে খেলাটা আমার স্বপ্ন। পাশাপাশি এমন স্বীকৃতি পাওয়া বাড়তি প্রাপ্তি। এই অর্জন আমি আমার সতীর্থ, কোচ ও সাপোর্ট স্টাফদের সাথে ভাগ করে নিচ্ছি।’

পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে ভুল করেননি হার্মার, ‘আমার পরিবারকে এই পুরস্কার উৎসর্গ করছি। যারা আমাকে স্বপ্ন পূরণে ও অনেক সময় তারা বাড়িতে থেকে আমাকে দায়িত্ব পালনে সুযোগ করে দেয়।’

গত মাসে ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। দুই ম্যাচে ২৬.৩০ গড়ে ১৩ উইকেট নিয়ে সিরিজে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ছিলেন তাইজুল। এ কারণে সিরিজ সেরার পুরস্কার জিতে নেন তিনি। আইসিসির মাস সেরার দৌড়ে থাকলেও সেরার স্বীকৃতি পেলেন না তাইজুল।

ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে এবং জিম্বাবুয়ে-শ্রীলঙ্কার সাথে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে বল ও ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়েছেন নাওয়াজ। পাঁচ ওয়ানডেতে ৪ উইকেট শিকারের পাশাপাশি করেছেন ১০৪ রান। ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টিতে ১০ উইকেট ও ৫২ রান করে ট্রফি জয়ে পাকিস্তানের হয়ে বড় অবদান রাখেন নাওয়াজ।