অপেক্ষা বাড়লেও বদলায়নি ফল। মুশফিকুর রহিমের শততম টেস্টের উপলক্ষ জয়ের রঙেই রাঙালো বাংলাদেশ। মিরপুরে টাইগারদের জয় ২১৭ রানে। এর ফলে টানা দুই জয়ে ২-০ তে সিরিজ জিতল নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
মিরপুর টেস্টকে বলা হচ্ছিল ‘মুশফিকের টেস্ট’। এই ম্যাচ দিয়ে সাদা পোশাকে শততম ম্যাচ খেলার কীর্তি গড়েছেন মুশফিকুর রহিম। অবশ্য ম্যাচটা লিটন দাসের জন্যও ছিল মাইলফলকের। অন্যরকম এক সেঞ্চুরি হয়েছে তারও।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে যা লিটনের শততম ম্যাচ। উপলক্ষ রাঙিয়েছেন দু’জনেই, প্রথম ইনিংসে দু’জনেই পেয়েছেন সেঞ্চুরি। অন্যদিকে বল হাতে তাইজুল ইসলাম গড়েছেন দারুণ এক কীর্তি, প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে টেস্টে পেয়েছেন ২৫০ উইকেট।
এমন সব রেকর্ডের ম্যাচে জয় প্রত্যাশিতই ছিল। চতুর্থ দিনে ১৭৬ রানেই আয়ারল্যান্ডের ৬ উইকেট তুলে নিয়ে কাজ অনেকটা এগিয়েই রেখেছিল। তবে শেষ দিনে বাকি কাজটা সমাধা করতে ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হয়েছে বেশ।
অনেকেই ভেবেছিলেন দিনের প্রথম সেশনেই হয়ত টেস্ট জিতে নেবে বাংলাদেশ। তা হয়নি, রোববার পঞ্চম দিনে শেষ ৪ উইকেট পেতে প্রায় ৬০ ওভার বোলিং করতে হয়েছে। শেষ পর্যন্ত ১১৩.৩ ওভারে ২৯১ রান করে থেমেছে আইরিশরা।
তবে চতুর্থ ইনিংসে নিজেদের সর্বোচ্চ সংগ্রহ গড়েও আয়ারল্যান্ড হেরে গেছে ২১৭ রানে। মিরপুরে চতুর্থ ইনিংসে বল খেলার রেকর্ড গড়া কার্টিস ক্যাম্ফার ২৫৯ বলে ৭১ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন।
শেষ দিকে নেমে দারুণ ব্যাট করেন জর্ডান নেইল (৩০) ও গ্যাভিন হোয়ে (৩৪)। তাদের ব্যাটেই বাড়ে অপেক্ষা। অন্যদিকে বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে তাইজুল ইসলাম ও হাসান মুরাদ নেন সমান ৪টি করে উইকেট।
এর আগে মিরপুর টেস্টে আগে ব্যাট করে প্রথম ইনিংসে ৪৭৬ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। সেঞ্চুরি করেন মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। বিপরীতে ২৬৫ রানে শেষ হয় আয়ারল্যান্ডের ইনিংস। ৪ উইকেট নেন তাইজুল।
২১১ রানের লিড পেলেও আইরিশদের ফলোঅন করায়নি টাইগাররা। নিজেরাই ব্যাটিংয়ে নামে। এবার ৪ উইকেটে করে ২৯৭ রান। লিডসহ বাংলাদেশের পুঁজি দাড়ায় ৫০৮ রানে।
মিরপুরে জিততে হলে অবিশ্বাস্য কিছু করতে হতো আয়ারল্যান্ডকে। ক্রিকেট ইতিহাসে পাঁচ শতাধিক রান তাড়া করে টেস্ট জেতেনি কখনো কোনো দল। তবে সেই রেকর্ড গড়া থেকে চতুর্থ দিনেই পা ফসকায় তারা।
৫০৯ রান তাড়া করতে নেমে ৬ উইকেটে ১৭৬ রান তুলে শনিবার চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করে আইরিশরা। কার্টিস ক্যাম্ফার ৩৪ ও এন্ডি ম্যাকব্রিনে ১১ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন। চতুর্থ দিনে অবশ্য জুটি বড় হয়নি।
এদিকে নিজের শততম টেস্টে ম্যাচ সেরা হয়েছেন মুশফিক নিজেই। প্রথম ইনিংসে ১০৬ রান করার পর মুশফিক দ্বিতীয় ইনিংসে করেন অপরাজিত ৫৩ রান।



