এশিয়া কাপে দ্বিতীয় দফা লড়াইয়েও ভারতের কাছে পাত্তা পায়নি পাকিস্তান। করেছে অসহায় আত্মসমর্পণ। অবশ্য খেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতার লেশমাত্র দেখাতে না পারলেও বেশ কয়েকবার কথা কাটাকাটিতে জড়িয়েছেন তারা।
দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত ম্যাচে শুরু থেকেই উত্তেজনা ছড়ায়। পাকিস্তানি পেসার শাহিন আফ্রিদি ও হারিস রউফের সাথে ভারতীয় ওপেনার অভিষেক ও শুভমান গিলের উত্তপ্ত বাকযুদ্ধ দেখা যায়।
তবে বিষয়টা বড় হয়ে ওঠে পঞ্চম ওভারে। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে হারিস রউফ ও ভারতের অভিষেক শর্মা রীতিমতো বাকবিতণ্ডায় জড়ান। যদিও পরিস্থিতি শান্ত করেন বাংলাদেশী আম্পায়ার গাজী সোহেল।
তর্কযুদ্ধে কে জিতেছেন, তা জানা নেই। তবে মাঠের খেলায় ঠিকই জিতে যান অভিষেক। ম্যাচের নায়ক হয়ে ওঠেন তিনি। ৩৯ বলে ৭৪ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলে ভারতেকে জেতান ৬ উইকেটে। নিজে হয়েছেন ম্যাচসেরা।
দলকে জেতাতে অভিষেক সাথে পান শুভমান গিলকে। এই ওপেনার ২৮ বলে করেন ৪৭ রান। ৯.৫ ওভারে দুজন গড়েন ১০৫ রানের জুটি। দুজনে জুটি বাঁধেন মাঠের তর্ক যুদ্ধেও। গিল চোখ রাঙান শাহিন আফ্রিদির সাথে।
ম্যাচ জয়ের পর পাকিস্তানকে খোঁচা দিতেও ভুল করেননি তারা। এখানেও যেন জুটি বাঁধেন গিল-অভিষেক। দুজনেই এক্স-এ চার শব্দের ক্যাপশন দিয়ে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের উদ্দেশে খোঁচা দেন।
যেখানে গিল লিখেন, ‘কথায় নয়, খেলায় প্রমাণ’। আর অভিষেক চারটি ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখেন, ‘তোমরা বকবক করো, আর আমরা জিতি।’
এর আগে খেলা শেষে মাঠেও এই নিয়ে মন্তব্য করেন অভিষেক। এই ওপেনার স্পষ্টই জানান, পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের অকারণ আগ্রাসনের জবাব তিনি ব্যাট হাতেই দিয়েছেন। অভিষেক বলেন-
‘ব্যাপারটা ছিল খুবই সহজ। তারা কোনো কারণ ছাড়াই আমাদের ওপর এসে পড়ছিল, আমার একদম ভালো লাগেনি। আর তাদের জবাব দেয়ার এটাই ছিল একমাত্র উপায়।’