এশিয়া কাপ জুড়েই বোলারদের ত্রাস হয়ে উঠেছিলেন অভিষেক শর্মা। প্রতি ম্যাচেই বিধ্বংসী রূপে দেখা মিলছিল তার। সেই অভিষেককে শুরুতেই ফেরাতে পারতো বাংলাদেশ, ফিরতে পারতেন ৫ বলে ৭ রান নিয়েই।
তানজিমের করা তৃতীয় ওভারের তৃতীয় বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলেছিলেন অভিষেক শর্মা। তবে ক্যাচ নিতে পারেননি অধিনায়ক জাকের। হাত ফসকে যায় বল। তাই যেন কাল হয়ে দাঁড়ায়।
জীবন পেয়ে আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠেন অভিষেক। শেষ পর্যন্ত যখন থামলেন, ততক্ষণে দেরি হয়ে গেছে। রিশাদের দারুণ ফিল্ডিংয়ে রান আউট হয়ে ফেরার আগে করেন ৬ চার ৫ ছক্কায় ৩৭ বলে ৭৫ রান।
জীবন পাওয়ার পরের ওভারেই শুভমান গিলকে নিয়ে নাসুমের থেকে রান নিয়েছেন ২১! পরের ওভারে মোস্তাফিজের থেকে আদায় করেন ১৭। ৫ ওভারেই আসে ৫৫ রান।
পরের ওভারে এসে সাইফুদ্দিনও দিয়েছেন সমান ১৭ রান। সব মিলিয়ে পাওয়ার প্লেতে আসে বিনা উইকেটে ৭২ রান। একের পর এক বাউন্ডারিতে মাত্র ২৫ বলে তুলে নেন ফিফটি।
ছিলেন শতকের পথেই, তবে ১১.১ ওভারে দলীয় ১১২ রানে রান আউট হলে শেষ হয় সেই শঙ্কা। একই ওভারের শেষ বলে আরো একবার উদযাপনের উপলক্ষ পায় বাংলাদেশ, মোস্তাফিজ ফেরান সূর্য কুমার যাদবকে।
ভারতীয় দলপতি ফেরেন ১১ বলে ৫ করে। পরের উইকেট এনে দেন তানজিম সাকিব। শুরু থেকেই দারুণ বল করা এই পেসার ফেরান তিলক ভার্মাকে (৫)। ১৪.৩ ওভারে ১৩৪ রানে ৫ উইকেট হারায় ভারত।
এর আগে প্রথম দুই উইকেট আসে রিশাদ হোসেনের হাত ধরে। ৬.২ ওভারে দলীয় ৭৭ রানে প্রথম উইকেটের পতন হয় ভারতের। ১৯ বলে ২৯ করে তানজিম সাকিবকে ক্যাচ দেন শুভমান গিল।
দ্বিতীয় উইকেট পেতেও দেরি হয়নি রিশাদের, পরের ওভারে বল হাতে এসেই ফেরান শিভাম দুবেকে (২)। ৮৩ রানে ২ উইকেট হারায় ভারত।