শুরুটা দারুণ করেছিল বাংলাদেশ, পাওয়ার প্লেতে ৫৯ আর ১০ ওভারে ১ উইকেটে যোগ করে ৮৭ রান। তবে এরপর কমে আসে রানের গতি, মাঝপথে বিধ্বংসী হতে পারেনি কেউ। বাড়িয়েছেন কেবল হতাশা।
শেষ ১০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে তুলতে পারে কেবল ৬৭ রান! বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ১৫৪ রান। এই চ্যালেঞ্জিং পুঁজির পেছনে বড় অবদান তানজিদ তামিমের, ৩১ বলে করেন ৫২ রান।
বাঁচা-মরার লড়াইয়ে টসে জিতে আগে ব্যাট করার মতো সাহসী সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। তবে এরপর চ্যালেঞ্জ ছিল ভালো শুরু এনে দেয়া। সেই কাজটা ঠিকঠাক করছেন তানজিদ তামিম ও সাইফ হাসান।
আগের দুই ম্যাচে উদ্বোধনী জুটি ভালো করতে পারেনি। তাই আজ বদল এনে পারভেজ ইমনকে বসিয়ে সুযোগ দেয়া হয় সাইফ হাসানকে। শুরুটা নড়েবড়ে হলেও খাপ খাইয়ে নিয়েছেন সাইফ।
তবে আসল কাজটা করছেন তানজিদ তামিম। রানের গতি টেনে নিয়েছেন তিনি। ফজলে হক ফারুকী থেকে মোহাম্মদ গাজাফারকে উড়িয়ে মেরেছেন তামিম। সুবাদে পাওয়ার প্লেতে এসেছে ৫৯ রান।
সর্বশেষ ১১ ইনিংসেই উদ্বোধনী জুটিতে পঞ্চাশ পেরোতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে সেই অপেক্ষা ঘুচে যায় আজ। তবে পাওয়ার প্লের পর আর জুটি বেশিক্ষণ টেকেনি, পরের ওভারে এসে সাইফকে ফেরান রশিদ খান।
রশিদ খানের শিকার হয়ে সাইফ থেমেছেন ২৮ বলে ৩০ করে। ৬.৪ ওভারে ৬৩ রানে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। এরপর লিটন এসে আত্মবিশ্বাসী শুরু করেন, তবে ইনিংস বড় হয়নি, ১১ বলে ৯ রানে থামেন তিনি।
অন্যদিকে ২৮ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ৩ ছক্কায় ফিফটি তুলে নিয়ে নেন তানজিদ তামিম। তবে টি-টোয়েন্টিতে নিজের সপ্তম ফিফটি তুলে আর টিকতে পারেননি, ৩১ বলে ৫২ করে ফেরেন তামিম।
১৩ ওভারেই তিন অঙ্কে পৌঁছা বাংলাদেশ এরপরও বড় সংগ্রহের দিকেই চোখ রেখেছিল। তবে সুবিধা করতে পারেনি টাইগাররা, কমে এসেছে রানের গতি। তাওহীদ হৃদয় চেষ্টা করে ফেরেন ২০ বলে ২৬ করে।
শেষ দিকে অবিশ্বাস্য রকমের ব্যাট করেন জাকের-শামীমরা। শামীম পাটোয়ারী ১১ বলে ১১, জাকের আলির ১৩ বলে অপরাজিত ১২ রান আরো চাপে ফেলে বাংলাদেশকে।
শেষ দিকে নুরুল হাসান সোহান ৬ বলে ১২* রান করলে দেড় শ’ পেরোয় বাংলাদেশ। বল হাতে আফগানদের হয়ে জোড়া উইকেট করে নেন রশিদ খান ও নুর আহমেদ।