এশিয়া কাপের সেরা একাদশ, বাংলাদেশের আছেন দু’জন

সব মিলিয়ে সেরা এগারোতে ভারতের চারজন, শ্রীলঙ্কার তিনজন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে আছেন দুজন করে এবং অন্যজন এশিয়া কাপে বল হাতে চমকে দেয়া আরব আমিরাতের জুনায়েদ সিদ্দিকী।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার ম্যাচের দৃশ্য
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার ম্যাচের দৃশ্য |সংগৃহীত

ভারতের ইতিহাস গড়ার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে এবারের এশিয়া কাপ। যদিও এখনো চলছে ট্রফি বিতর্ক। আসর শেষ হয়েছে দু’দিন হলেও হয়নি যার সুরাহা, তবে এর মাঝেই খুঁজে নেয়া হলো এশিয়া কাপের সেরা একাদশ।

এবারে আসরের সেরা ক্রিকেটার বনে গেছেন অভিষেক শর্মা। মোস্ট ভ্যালুবয়েল ক্রিকেটারের পুরস্কারও গেছে ভারতে, পেয়েছেন কুলদীপ যাদব। ফাইনাল সেরা হয়েছেন তিলক ভার্মা। তাদের প্রত্যেকেই আছেন একাদশে।

সব মিলিয়ে সেরা এগারোতে ভারতের চারজন, শ্রীলঙ্কার তিনজন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে আছেন দুজন করে এবং অন্যজন এশিয়া কাপে বল হাতে চমকে দেয়া আরব আমিরাতের জুনায়েদ সিদ্দিকী।

অভিষেক শর্মা (ভারত)
৭ ম্যাচে ৩১৪ রান, গড় ৪৪.৮৫, স্ট্রাইক রেট : ২০০।

পুরো টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক অভিষেক শর্মা ছিলেন ভারতের ব্যাটিংয়ের ভরসা। পাওয়ারপ্লেতে বিধ্বংসী ব্যাটিং করে প্রতিটি ম্যাচে দলকে এগিয়ে দিয়েছেন।

পাথুম নিশানকা (শ্রীলঙ্কা)
৬ ম্যাচে ২৬১ রান, গড় ৪৩.৫০, স্ট্রাইক রেট : ১৬০.১২।

একমাত্র সেঞ্চুরি হাঁকানো ব্যাটার। ভারতের বিপক্ষে তার সেঞ্চুরি দলকে লড়াইয়ে রেখেছিল। স্থিরতা ও পরিমিত ব্যাটিংয়ে ওপেনিং জুটিতে অভিষেকের পারফেক্ট সঙ্গী।

সাইফ হাসান (বাংলাদেশ)
৪ ম্যাচে ১৭৮ রান, গড় ৪৪.৫০, স্ট্রাইক রেট : ১২৮.০৪। প্রথম দুই ম্যাচে একাদশে জায়গা হয়নি। তবে এরপর সুযোগ পেয়েই করেন বাজিমাত। হাঁকান জোড়া ফিফটি। আসরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১২ ছক্কা তার।

কুশল পেরেরা (শ্রীলঙ্কা)
৬ ম্যাচে ১৪৬ রান, গড় ২৪.৩০ স্ট্রাইক রেট : ১৩৯.৪।

শ্রীলঙ্কার হয়ে ব্যাট হাতে আসর জুড়েই আলো ছড়িয়েছেন। যদিও ইনিংস বড় করতে পারেননি বেশিরভাগ সময়। তবে ফিফটি আছে একটা।

সূর্যকুমার যাদব (ভারত, অধিনায়ক)
৭ ম্যাচে ৭২ রান; ব্যাট হাতে স্পষ্ট ব্যর্থ থাকলেও কেবল নেতৃত্বগুণেই সেরা একাদশে জায়গা নিয়েছেন তিনি। তার দারুণ পরিকল্পনা, খেলোয়াড়দের ওপর আস্থা আর কৌশলগত বিচক্ষণতা এনে দিয়েছে শিরোপা।

তিলক ভার্মা (ভারত)
৭ ম্যাচে ২১৩ রান, গড় ৭১, স্ট্রাইক রেট : ১৩১.৪৮।

ফাইনালে তার অপরাজিত ৬৯ রানের ইনিংস ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছে। পুরো টুর্নামেন্টে চাপ সামলে দলের প্রয়োজনে খেলেছেন।

ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা (শ্রীলঙ্কা)
৬ ম্যাচে ৮ উইকেট, ইকোনমি : ৬.৫০।

মাঝের ওভারে নিয়ন্ত্রণ রাখার পাশাপাশি ব্যাট হাতেও কার্যকর। দলের জন্য স্পিন অলরাউন্ডার হিসেবে অমূল্য সম্পদ।

শাহীন শাহ আফ্রিদি (পাকিস্তান)
৭ ম্যাচ, ৮৩ রান, ১০ উইকেট, ইকোনমি : ৬.৬০

ব্যাট ও বলে দু’দিকেই প্রভাব রেখেছেন। পাকিস্তানের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে সেরা একাদশে জায়গা পেয়েছেন।

কুলদীপ যাদব (ভারত)
৭ ম্যাচ, ১৭ উইকেট, ইকোনমি : ৬.২৮।

এবারের এশিয়া কাপের মোস্ট ভ্যালুবয়েল প্লেয়ারের পুরস্কার জিতেছেন কুলদীপ যাদব। এই স্পিনার ৭ ম্যাচেই নিয়েছেন ১৭ উইকেট। যা এক আসরে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের রেকর্ড।

মোস্তাফিজুর রহমান (বাংলাদেশ)
৬ ম্যাচ, ৯ উইকেট, ইকোনমি : ৭.৪৩।

ডেথ ওভারে বল হাতে ভরসা জাগিয়েছেন। বৈচিত্র্য দিয়ে প্রতিপক্ষকে ভুগিয়েছেন। বাংলাদেশ দলের ফাইনালের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে বড় ভূমিকা ছিল তার।

জুনায়েদ সিদ্দিক (সংযুক্ত আরব আমিরাত)
৩ ম্যাচ, ৯ উইকেট, ইকোনমি : ৬.৩৩

টানা দুটি ম্যাচে চার উইকেট নিয়ে আলো কাড়েন। পাকিস্তানের বিপক্ষে অসাধারণ স্পেল বিশ্বমঞ্চে তাকে চিনিয়েছে।

একাদশ: অভিষেক শর্মা, পাথুম নিশানকা, সাইফ হাসান, কুশল পেরেরা, সূর্য কুমার যাদব, তিলক ভার্মা, শাহিন শাহ আফ্রিদি, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, কুলদীপ যাদব, মোস্তাফিজুর রহমান, জুনায়েদ সিদ্দিকী।