টানা চার ওয়ানডে হেরে বেশ চাপে ছিল বাংলাদেশ। তবে হারের চেয়েও মাথা ব্যথার কারণ ছিল হারের ধরন। ব্যাট হাতে একেবারেই নিস্প্রভ ছিলেন সবাই। সেই নিস্প্রভতা যদিও কেটে উঠেনি, তবে স্বস্তির এক জয় পেয়েছে দল।
জয়ের নায়ক রিশাদ হোসেন। ব্যাট হাতে ১৩ বলে ২৬ রানের ক্যামিও ইনিংসের পর বোলিংয়ে শিকার করেন ছয়টি উইকেট। অলরাউন্ড নৈপুণ্যে দলকে জিতিয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কারও জিতলেন তরুণ এই লেগ স্পিনার।
তার চেয়ে ভালো বোলিং রেকর্ড আছে কেবল মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা ও রুবেল হোসেনের। দু’জনে ২৬ রানে নেন ২ উইকেট। তবে স্পিনারদের মাঝে রিশাদই সেরা, এই ফরম্যাটে বাংলাদেশী কোনো স্পিনার ৬ উইকেট পাননি।
এমন রেকর্ড গড়েও আত্মতৃপ্তি নেই রিশাদের। সাফল্যের উচ্ছ্বাসে ভেসে না গিয়ে তিনি বললেন, ‘এটিই তার কাজ।’
ম্যাচ শেষে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এটা আমার কাজ। এটা আমাকে করতে হবে। সবাই স্ট্রাগল করছিল। তাই আমি চেষ্টা করেছি নিজের সেরাটা দেয়ার।’
রিশাদ মাঠে আসেন ৪৫.২ ওচারে ১৬৫ রানে ৬ উইকেট পরে যাবার পর। ফলে দল তখন দুই শ’ রান তুলতে পারা নিয়েও ছিল শঙ্কায়। তবে রিশাদের সেই ইনিংস শঙ্কা কাটিয়ে সাহস এনে দেয় দলকে।
এই প্রসঙ্গে রিশাদ বলেন, ‘যেই জায়গায় নামি, আমার দায়িত্ব হচ্ছে বাড়তি কিছু রান করা। দলের জন্য যেটা ভালো হয়। ১৮০ রানকে ২১০ রানে নিয়ে যাওয়া। সেটাই চেষ্টাই করেছি। আলহামদুলিল্লাহ ভালো হয়েছে।’
এদিকে রিশাদের পারফরম্যান্সের মতো আলোচনা হচ্ছে মিরপুরের উইকেট নিয়েও। যেখানে রীতিমতো ধুঁকেছে ব্যাটাররা। ম্যাচ শেষে ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক শাইহোপ তো বলেই বসেন- ‘একজন ব্যাটার হিসেবে আপনি এমন পিচে কখনো ব্যাট করার স্বপ্ন দেখবেন না।’
তবে বিষয়টি নিয়ে তেমন মাথা ঘামাতে রাজি হননি রিশাদ। স্পষ্টই বলেন, ‘উইকেট ওদের জন্য যেমন ছিল, আমাদের জন্যও তেমনই ছিল। আমরাও এর সাথে মানিয়ে নিয়ে খেলেছি। এর চেয়ে বাজে উইকেট কিন্তু গায়ানাতে ছিল।’
এই উইকেটে বেশ ধুঁকেছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। ৫১ রান করতে ৯০ বল খেলেছেন তাওহীদ হৃদয়। মাহিদুল ইসলাম ৭৬ বলে করেন ৪৬ রান। আর নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাট থেকে আসে ৬৩ বলে ৩২ রান।
এর কারণ হিসেবে রিশাদ বলেন, ’আপনারা দেখেছেন উইকেট কী রকম ছিল। ব্যাটাররা হয়তো মনে করেছে এখানে সময় নিয়ে খেললে পরে শেষটা ভালো করতে পারব।’



