রীতিমতো বোমা ফাঁটালেন জাহানারা আলম। টাইগ্রেস অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতিকে নিয়ে নিয়ে ভয়ঙ্কর তথ্য দিয়েছেন তিনি। অনৈতিক সুবিধা নেয়ার পাশাপাশি তুলেছেন জুনিয়রদের গায়ে হাত তোলার অভিযোগ!
বাংলাদেশ নারী দলের তারকা মুখ ছিলেন জাহানারা আলম। অধিনায়কত্বও করেছেন এই পেসার। তবে স্বেচ্ছাচারীতা ও শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে দল থেকে বাদ পড়েন তিনি। পরবর্তীতে আর আলোচনায় আসতে পারেননি।
জাহানারা এখন অবশ্য থিতু হয়েছেন প্রবাসে, বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে অবস্থান করছেন তিনি। সেখান থেকেই দেশের একটি গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বর্তমান অধিনায়ক জ্যোতিকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি।
সাক্ষাৎকারে জাহানারা দাবি করেন, ক্রিকেটারদের গায়ে হাত তোলেন জ্যোতি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘জ্যোতি প্রচুর মারধর করে জুনিয়রদের। এই বিশ্বকাপের সময়ও জুনিয়ররা আমাকে এই রকম জানিয়েছে। দুবাই সফরের সময়ও এক জুনিয়রকে রুমে ডেকে থাপ্পড় মেরেছে।’
ক্ষমতা পেয়ে এর অপব্যবহার শুরু করেছে জ্যোতি- মন্তব্যও করেন জাহানারা। জানান, সিনিয়র হলেও নাম ধরে ডাকতেন বর্তমান অধিনায়ক। এমনকি বাড়তি সুবিধা নেয়ার অভিযোগও করেন জাহানারা।
তিনি বলেন, ‘জ্যোতি তো অনেক সময় ফিটনেস টেস্ট দেয় না। ফিটনেস সেশনও করে না। সহকারী কোচকে নিয়ে ব্যাটিং অনুশীলন করে বেশি। জ্যোতি ছোটবেলা থেকেই উল্টাপাল্টা কাজ করত। মারামারি করে হাসপাতালে যাওয়ার রেকর্ডও আছে।’
জাহানারা আরো বলেন, ‘সিলেটে প্রচণ্ড গরমের মাঝে ফিটনেস সেশন করার পর কেউ যখন ঠিকমতো হাঁটতেও পারছে না, তখন দেখি এক জুনিয়র জ্যোতির কিটব্যাগ টেনে এক মাঠ থেকে আরেক মাঠে নিচ্ছে। জুনিয়ররাই সবসময় ওর কিটব্যাগ টানে। কতবার যে জ্যোতিকে বলতে শুনেছি, “এই বসে আছিস কেন? যা আমার ব্যাগ নামা।” জুনিয়ররা আসলে করতে বাধ্য, কিছু করার নেই।’
এমনকি জুনিয়রদের দিয়ে জ্যোতির শারীরিক সেবা নেয়ার অভিযোগও করেন জাহানারা। বলেন, ‘সিলেটে দু’টি ড্রেসিংরুমের একটি জুনিয়রদের জন্য। জ্যোতিকে দেখি ওটায় গিয়ে জুনিয়রদের দিয়ে মাথা টেপাচ্ছে, চুলে তেল দেয়াচ্ছে।’
জাহানারা অভিযোগ করেছেন দলের আরো কয়েকজনকে নিয়েও। বলেন, ‘প্রথমে নাহিদা আর ঋতুমনি পরিকল্পনা করে। এরা যদি মনে করে কাউকে “সাইজ” করতে হবে, তখন জ্যোতির সাথে আলোচনা করে।’
তিনি বলেন, ‘জ্যোতির আবার আলাদা একটি গ্রুপ আছে। পিংকি (ফারজানা হক) ও ইশমাকে (তানজিম) নিয়ে। রাবেয়া ওর ডান হাত। এখন সুমাইয়াও যোগ হয়েছে। এই হচ্ছে জ্যোতির প্যানেল। এরা যে কী করতে পারে, আপনার কোনো ধারণাই নেই।’
 


