খুব কাছে গিয়েও ইতিহাস গড়া হয়নি বাংলাদেশের, লেখা হয়নি প্রোটিয়া বধের রূপকথা। তীরে এসে তরী ডুবেছে টাইগ্রেসদের। দুয়ারে এসেও পেরোতে পারেনি চৌকাঠ। চোখের পানিতেও যে দুঃখ ভুলতে পারছেন না জ্যোতিরা।
নারী বিশ্বকাপের নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে ৩ উইকেটে হেরে যায় বাংলাদেশ। সোমবার ভারতের বিশাখাপত্তনমে আগে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ২৩২ রান করে টাইগ্রেসরা। যা দক্ষিণ আফ্রিকা পেরিয়ে যায় ৩ বল বাকি থাকতেই।
অথচ বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় সেরা ২৩২ রান করার পর ২২.১ ওভারে মাত্র ৭৮ রানে প্রোটিয়াদের ৫ উইকেট তুলে নেয় টাইগ্রেসরা। বুনতে থাকে ইতিহাস গড়ার স্বপ্ন। এরপর ম্যাচটা হঠাৎ করেই জমে উঠে।
ম্যাচের ভাগ্য দুলতে দুলতে পৌঁছায় শেষ ওভারে। যেখানে ৮ রান প্রয়োজন ছিল প্রোটিয়াদের। এরপর আর উত্তেজনা চেপে রাখতে পারেনি টাইগ্রেসরা, ৩ বলেই হেরে যায় ম্যাচ। মাঝে বেশকিছু ক্যাচ মিস না হলে গল্পটা ভিন্ন হতে পারতো।
এমন হার যেন হজম হয়নি নিগার সুলতানা জ্যোতিদের। কেঁদেই ফেলেন তারা। ম্যাচ শেষে সম্প্রচার চ্যানেলকে বাংলাদেশের অধিনায়ক জানিয়েছেন, ম্যাচ হারের দুঃখে ড্রেসিংরুমে গিয়ে ক্রিকেটাররা কান্না করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি সত্যিই গর্বিত মেয়েদের জন্য, যারা শেষ বল পর্যন্ত লড়াই করেছে। খারাপ লাগছে তাদের জন্য। কারণ তারা ড্রেসিংরুমে কাঁদছে। তারা খুবই কম বয়সি ও আবেগপ্রবণ।’
জ্যোতি আরো বলেন, ‘তবে তারা শতভাগ নিজেদের উজাড় করে দিয়েছে। শেষ পর্যন্ত বিশ্বাস রেখেছে আমরা জিতব। এটা আমাদের জন্য একটা দারুণ শিক্ষা ছিল।’
নিজেদের পরিকল্পনা নিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা ছিল পাওয়ার প্লে-তে উইকেট না হারানো। আমরা জুটি তৈরি করার দিকে মনোযোগী ছিলাম। আজ আমরা ফারজানাকে খেলিয়েছি। সে অভিজ্ঞ খেলোয়াড় এবং খুব ভালো খেলেছে।’
হারের কারণ হিসেবে বাংলাদেশ অধিনায়ক মনে করেন ১০-১৫ রান কম হয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘হয়তো আমরা এখনো ১০ থেকে ১৫ রান কম পেয়েছি।’
আগের ম্যাচেই যেখানে ১০০ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ, সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে এমন লড়াই প্রশংসা পাওয়ার মতো। প্রশংসা করেন জ্যোতিও। তিনি বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডের ম্যাচের পর যেভাবে আমরা ফিরে এসেছি সেটা খুবই প্রশংসনীয়। আমাদের যা কিছু হয়েছে তার জন্য গর্ব করা উচিত। আমাদের আরো তিনটি ম্যাচ বাকি। মাথা উঁচু করে সঠিক পথেই এগিয়ে যেতে চাই।’