বিপিএলের একযুগে এসে অনেক কিছুই বদলে গেছে। বদল এসেছে আবহ, উত্তেজনা, ভাবনায়। সময়ের সাথে বদলে গেছে একসময়ের রঙিন মুখগুলোও, ধূসর হতে শুরু করেছে পঞ্চপাণ্ডবের আলো জ্বলমলে অধ্যায়।
একটা সময় বিপিএলের দামামা বাজলেই রব পড়ে যেতো সাকিব আল হাসান-তামিম ইকবালদের নিয়ে। কে খেলবেন কোথায়, তা থাকতো আলোচনা জুড়ে। আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকতেন মুশফিক, মাশরাফী, মাহমুদউল্লাহও।
তবে সে সব এখন অনেকটাই অতীত। তাদের কেউ এখন নেই টি-টোয়েন্টি দলে। জাতীয় দলে খেলছেন মুশফিকুর রহিম একাই। মাশরাফী আর সাকিব অবশ্য শেষ আসরেও খেলেননি, রাজনৈতিক কারণে আড়ালেই আছেন তারা।
তবে এবার দেখা যাবে না তামিম ইকবালকেও। বেশ কয়েক মাস আগে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়া তামিম প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরতে চাচ্ছেন না আর। ফলে প্রথমবারের মতো সাকিব-তামিমকে ছাড়াই মাঠে গড়াবে বিপিএল।
তামিমের অধীনে গত দুই মৌসুম চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বরিশাল ফ্র্যাঞ্চাইজি। ২০২৩ সালের বিপিএলে ৪৯২ রান করে টুর্নামেন্টের সেরা ক্রিকেটারও হয়েছিলেন তামিম। গত আসরেও ৪১৩ রান করেছেন সাবেক এই ওপেনার।
বিপিএল ক্যারিয়ার বেশ বর্ণিল তামিমের। ভিন্ন ভিন্ন সাতটি ফ্র্যাঞ্চাইজির অধীনে খেলতে দেখা গেছে তাকে। আছে ৩ হাজার ৮৩৫ রান। ৩২টি-হাফ সেঞ্চুরির পাশাপাশি দুটি সেঞ্চুরিও করতে দেখা গেছে তাকে।
অন্যদিকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকেও বিপিএলে দেখা নিয়ে আছে শঙ্কা। এই মুহূর্তে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত মাহমুদউল্লাহ আছেন মাঠের বাইরে। আগামী মাস থেকে শুরু হওয়া বিপিএলের জন্য তিনি কতটা ফিট থাকবেন, তা নিয়েও আছে প্রশ্ন।
অন্যদিকে হয়তো সুযোগ মিলতে পারে মুশফিকুর রহিমের। যদিও শেষ বিপিএল ভালো যায়নি তার। তা ছাড়া শেষ এনসিএল টি-টোয়েন্টিতেও খেলা হয়নি তার। ফলে টি-টোয়েন্টি থেকে দূরেই আছেন বলা যায়।
তবে শেষ পর্যন্ত মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ খেললেও একটা বিষয় এখন পর্যন্ত ঘটে গেছে যে, তাদের ঘিরে নেই পুরনো উত্তাপ। আগে যাদের সরাসরি চুক্তিতে দলে ভেড়াতে প্রতিযোগিতা করতো দলগুলো, তাদের নিয়ে ভাবছে না এখন তেমন কেউ।



