টেস্ট অধিনায়ক হতে শান্তর ‘না’, আগ্রহী লিটন দাস

লিটন দাস এই দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত আছেন বলেই জানিয়েছেন। স্পষ্টই বলেন, টেস্টে অধিনায়কত্বের প্রস্তাব পেলে কেউই মানা করবে না। যদিও এখনো বিসিবি থেকে কোনো বার্তা পাননি বলে জানিয়েছেন তিনি।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
লিটন কুমার দাস ও নাজমুল হোসেন শান্ত
লিটন কুমার দাস ও নাজমুল হোসেন শান্ত |সংগৃহীত

বাংলাদেশ টেস্ট দল নেতৃত্ব শূন্য হয়ে আছে দীর্ঘদিন। গত জুনে শ্রীলঙ্কা সফরে কলম্বো টেস্টের পর হঠাৎ সাদা পোশাকের নেতৃত্ব ছাড়েন নাজমুল হোসেন শান্ত। ফলে শূন্য পদে নতুন অধিনায়ক খুঁজতে হচ্ছে বাংলাদেশকে।

গত চার মাস কোনো টেস্ট খেলেনি বাংলাদেশ। ফলে নেতৃত্বও বেছে নেয়া হয়নি নেতৃত্বও। তবে আগামী মাসে এই ফরম্যাটে আবার নামছে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। সিলেটে ১১ নভেম্বর হবে প্রথম ম্যাচ, ঢাকায় দ্বিতীয়টি ১৯ নভেম্বর।

ফলে এখন নতুন অধিনায়ক খুঁজে নেয়ার সময় হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে কে আসছেন পরবর্তী নেতৃত্বে? সেই সাথে প্রশ্ন আরো একটা আছে, তিন অধিনায়কের যুগেই থাকবে কি থাকবে দল?

তিন অধিনায়ক নাকি দুই অধিনায়ক, সেটাই আগে দেখার বিষয়। যদি সংখ্যাটা কমে আসে, তবে ওয়ানডে অধিনায়ক মেহেদী মিরাজ বা টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক লিটন দাসের দায়িত্ব বাড়তে পারে।

লিটন দাস এই দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত আছেন বলেই জানিয়েছেন। স্পষ্টই বলেন, টেস্টে অধিনায়কত্বের প্রস্তাব পেলে কেউই মানা করবে না। যদিও এখনো বিসিবি থেকে কোনো বার্তা পাননি বলে জানিয়েছেন তিনি।

ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরুর আগের দিন (রোববার) সংবাদ সম্মেলনে টেস্ট নেতৃত্বের প্রস্তাব পেলে সেটি গ্রহণ করার আভাসও দিয়ে দিলেন-

‘এখন পর্যন্ত এই বিষয় নিয়ে আমি কোনো কিছু জানি না। তারা যদি মনে করে (আমি) যোগ্য, অবশ্যই তারা আমার সাথে আলাপ করবেন। দেখা যাক তারপর সিদ্ধান্তটা কী হয়।’

লিটন বলেন, অবশ্যই একজন ক্রিকেটার হিসেবে টেস্ট অধিনায়কত্ব- এটা অনেক বড় একটা পাওয়া। আমার মনে হয় না কেউ ‘না’ করবে। তবে তাদের (বিসিবি) পক্ষ থেকে এখনো কোনো বার্তা আসেনি।

এদিকে বেরিয়েছে উল্টো খবরও। সদ্য সাবেক অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে আবারো টেস্ট অধিনায়কত্ব করার প্রস্তাব দেয়া হলেও, তিনি আগ্রহী নন। জানা গেছে- চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে ক্রিকেট বোর্ড।

ক্রিকবাজের তথ্য অনুযায়ী, বিসিবি সম্প্রতি শান্তকে টেস্ট দলের নেতৃত্বের প্রস্তাব দেয়। তবে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি বোর্ডকে জানিয়েছেন যে, এই দায়িত্বে ফেরার কোনো পরিকল্পনা তার নেই।