গতরাতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে রেকর্ড গড়েই জিতেছে বাংলাদেশ। তাড়া করেছে নিজেদের ইতিহাসের তৃতীয় সর্বোচ্চ রান। যদিও পথটা ছিল কঠিন, তবে সাইফ হাসান ও তাওহীদ হৃদয় মিলে সামলে নেন সবটা।
তবে লিটন কুমার দাসের মতে, টার্নিং পয়েন্ট মূলত বোলিংয়ে মোস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদের করা শেষ দুই ওভার। যেখানে সুবিধা করতে পারেনি শ্রীলঙ্কা, যোগ করে মাত্র ১৫ রান।
অথচ একটা সময় মনে হচ্ছিল, দুই শ’র কাছাকাছি চলে যাবে শ্রীলঙ্কা। ১৫ থেকে ১৮তম ওভার পর্যন্ত তারা নেয় ৫৫ রান। তবে শেষ দুই ওভারে আটকে যায় রানের গতি, ১৬৮ রানে থেমে যায় শ্রীলঙ্কা।
১৯তম ওভারে মাত্র ৫ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন মোস্তাফিজ। ওই ওভারের শুরুতে রান আউট হন চারিথ আসালাঙ্কাও। পরে শেষ ওভারে একটি করে চার-ছক্কা হজম করলেও ৪টি ডট বল করেন তাসকিন।
যে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১ বল বাকি থাকতে শ্বাসরুদ্ধকর ৪ উইকেটের জয় পায় বাংলাদেশ। সাইফ হাসান ৪৫ বলে ৬১ ও তাওহীদ হৃদয় খেলেন ৩৭ বলে ৫৮ রানের ইনিংস। তবে লিটন কৃতিত্ব দিলেন বোলারদেরই।
পুরস্কার বিতরণ মঞ্চে, এই দুই ওভারের কথা আলাদা করে বলেন লিটন দাস। বলেন, ‘আমরা সবাই জানি, প্রতিপক্ষের জন্য মোস্তাফিজ কতটা বিপজ্জনক। উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য বেশ ভালো ছিল।’
‘আমি মনে করি, মোস্তাফিজের ১৯তম ও তাসকিনের ২০তম ওভার ম্যাচ ঘুরিয়ে দিয়েছে। কারণ, মনে হচ্ছিল, ১৯০ করে ফেলবে। কিন্তু তারা রানটা কমের মাঝে রেখেছে।’ যোগ করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
তবে ব্যাটারদের নিয়েও ছিল তার উচ্ছ্বাস। সাইফ-হৃদয়কে নিয়ে বেশ প্রশংসাই করেন তিনি। বিশেষ করে সাইফকে নিয়ে, যার কিনা এশিকা কাপে খেলাটাই কাকতালীয় বলা যায়। তবে লিটন বললেন তিনি সাইফকে নিয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন।
বলেন, ‘আমি জানি, বাংলাদেশের হয়ে ম্যাচ জেতাতে পারে সাইফ। এশিয়া কাপের জন্য আমরা যখন তাকে দলে নিলাম, সবাই জানতাম যে এশিয়ার মাঠে সে ভালো ব্যাটার হবে। বিশেষ করে সংযুক্ত আরব আমিরাতে।’
‘আমি ওর ক্যারেক্টার জানি, ও কিভাবে রান করে আমার জানা। তাই ব্যাটিং সহজ হয়েছে।’
সুপার ফোরে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ম্যাচের প্রতিপক্ষ ভারত। যারা কিনা আসরে এখন পর্যন্ত অপরাজিত ও এশিয়া কাপের সর্বোচ্চ শিরোপাজয়ী। আগামী বুধবার হবে ম্যাচটি। সেই ম্যাচের আগে সতর্ক বাংলাদেশ অধিনায়ক।
‘এরকম ম্যাচে রান তাড়া করে জিতলে অবশ্যই আপনি দল হিসেবে উজ্জীবিত থাকবেন পরের ম্যাচের জন্য। তবে আমাদের আবার মাঠে নামতে হবে। নতুন দিন, নতুন প্রতিপক্ষ। আমাদের আবার সেরা ক্রিকেটটাই খেলতে হবে।’