ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে উন্মাদনা তৈরির চেষ্টা যদিও করা হয়, তবে মাঠের ভেতর নেই উত্তেজনার বিন্দুবিসর্গও। বাইরে যতটা তর্ক-বিতর্ক, এর ছিটেফোঁটাও থাকে না মাঠের খেলায়।
ভারত-পাকিস্তান লড়াইয়ে ‘ক্ল্যাসিক’ এক ম্যাচ দেখার অপেক্ষায় থাকেন সমর্থকেরা। খোঁজ করেন রোমাঞ্চ আর উত্তেজনা। তবে এখন আর তার দেখা মেলে না। নেই পুরনো জৌলুস, হারিয়েছে রঙ।
‘দ্বৈরথ' শব্দটা এখন আর যাচ্ছে না সাথে, সবগুলো ম্যাচই হয় একপেশে। ওয়ানডেতে গত ১০ বছরে ১০ দেখায় পাকিস্তান জিতেছে মাত্র ১ বার। আর ৮ ম্যাচে জিতেছে ভারত। অন্য ম্যাচটা ভেস্তে যায় বৃষ্টিতে।
টি-টোয়েন্টিতে আরো আধিপত্য ভারতের। ২০০৭ সালে প্রথম দেখার পর থেকে আরো ১৪ বার দেখা হয়েছে দু’দলের। যেখানে ১২ বারই জিতেছে ভারত, পাকিস্তানের জয় মাত্র ৩ ম্যাচে।
ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তান শেষ জয় পেয়েছে তিন বছর আগে ২০২২ এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টিতে, দুবাইয়ে। এরপর থেকে গত রাত পর্যন্ত টানা ছয় ম্যাচে হারল দলটি। মাঝে এক ম্যাচ ভেস্তে যায় বৃষ্টিতে।
এশিয়া কাপের সুপার ফোরে গতরাতে পাকিস্তানকে ৬ উইকেটে হারায় ভারতীয়। এই জয়ে গড়ে ইতিহাস। দুই দলের ৭৩ বছরের ইতিহাসে পাকিস্তান বা ভারত কখনোই একে অন্যকে টানা পাঁচ ম্যাচের বেশি হারাতে পারেনি আগে।
এমন জয়ের পর পাকিস্তানকে আর প্রতিদ্বন্দ্বি ভাবতে রাজি নয় ভারত অধিনায়ক সূর্য কুমার যাদব। তার স্পষ্ট বক্তব্য, দ্বৈরথ হয় যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে, তাদের সাথে। পাকিস্তান তার উপযুক্ত নয়।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে সূর্য বলেন, ‘আমার মনে হয় আপনাদের এই রাইভালরি (দ্বৈরথ) নিয়ে প্রশ্ন করা বন্ধ করা উচিত।’ এরপর কেন প্রশ্নটা বন্ধ করা উচিত সেই সংক্রান্ত ব্যাখ্যাও দেন।
তিনি বলেন, ‘আমার মতে যদি কোনো দল ১৫-২০ ম্যাচ খেলে, তার মধ্যে যদি ৭-৭ অথবা ৭-৮ স্কোরলাইন থাকে, তাহলে এটাকে দ্বৈরথ বলা যায়। কিন্তু ১৩-০, ১০-১ আমি জানি না আসল সংখ্যাটা কী। কিন্তু এটা এখন আর রাইভালরি নেই।’