গুঞ্জনই সত্য হলো। বিপিএলের পরবর্তী আসরে থাকছে না ফরচুন বরিশাল। নতুন মৌসুমে দল পাওয়ার জন্য আবেদনই করেনি তারা। তবে তারা না থাকলেও ১০টি প্রতিষ্ঠান বিপিএলে দল নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানা নিতে আগ্রহ প্রকাশ করার শেষ সময় ছিল ২৮ অক্টোবর বিকেল ৫টা পর্যন্ত। তবে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আবেদন পত্র জমা নিয়েছে গভর্নিং কাউন্সিলর।
শেষ পর্যন্ত পাঁচ বছরের জন্য বিপিএলে দল নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ১০ প্রতিষ্ঠান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইফতেখার রহমান মিঠু। যেখানে নেই ময়মনসিংহ বিভাগের নাম।
সেই অঞ্চলগুলোর মধ্যে মালিকানা নিতে আবেদন পড়েছে সেগুলো হলো রংপুর, ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, খুলনা, রাজশাহী, নোয়াখালী, বরিশাল ও সিলেট। তবে রাজশাহীর ফ্র্যাঞ্চাইজি নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে দু’টি প্রতিষ্ঠান।
পুরনোদের মাঝে নেই বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল। বিপিএল থেকে সরে দাঁড়িয়েছে তারা। তবে আছে রংপুর রাইডার্স। লম্বা সময় ধরেই তাদের সাথে যুক্ত আছে বসুন্ধরা গ্রুপ। আছে মাইন ট্রি গ্রুপের খুলনা টাইগার্স।
এছাড়া ঢাকা ক্যাপিটালসের মালিকানা ধরে রাখতে চায় রিমাক হারল্যান। চিটাগং কিংসের জন্য আবেদন করেছে বিতর্কিত এসকিউ স্পোর্টস। তবে এসকিউ স্পোর্টসের ফ্র্যাঞ্চাইজিটির বিরুদ্ধে আর্থিক অসঙ্গতির অভিযোগ আছে বিসিবির।
কুমিল্লা ফাইটার্স নামে দল নিতে চায় এসএস গ্রুপ। আর রাজশাহীর মালিকানা চেয়ে আবেদন করেছে দেশ ট্রাভেলস ও নাবিল গ্রুপ। নোয়াখালীর ফ্রাঞ্চাইজি নিতে ইচ্ছুক বাংলা মার্ক।
বরিশাল থেকে আবেদন করেছে আকাশবাড়ী হলিডেজ আর সিলেট স্ট্রাইকার্সের মালিকানা চেয়েছে জেএম স্পোর্টস অ্যান্ড এন্টারটেইনমেন্ট।
ঢাকা ক্যাপিটালস, খুলনা টাইগার্স, চিটাগং কিংস- পুরনো এই তিনটা দলের বিপক্ষে আছে নানা অভিযোগ। আর্থিক অসঙ্গতি তো আছেই, আছে ফিক্সিংয়ের অভিযোগও। যদিও ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
যাদের নামে অভিযোগ আছে ফ্র্যাঞ্চাইজি হিসেবে তাদের রাখা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ইফতেখার বলেন, ‘গত বছর আমাদের যে কঠিন সময় গেছে। অনেক খেলোয়াড় টাকা পায়নি, বাসের টাকা পায়নি এসব যাতে না হয়। এটা হচ্ছে আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার। সভাপতি সাহেব ও আমাদের লক্ষ্য এরকম বিব্রতকর অবস্থায় আমরা যাতে আর না পড়ি।’
তিনি বলেন, ‘সেটার জন্য আমার প্রোটেকশন নিতেই হবে। এজন্য আপনারা জানেন ১০ কোটি টাকার ব্যাংক গ্যারান্টি চেয়েছি। কারণ ধরেন পেমেন্টটা যদি না দেয় তাহলে আমরা ব্যাংক গ্যারান্টি থেকে এনক্যাশ করে দিয়ে দেবো।’
উল্লেখ্য, সব শর্ত পূরণ করে বিপিএলে দল নিতে হলে প্রথম বছরে ২ কোটি টাকা ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি দিতে হবে। ২০২৭ সাল থেকে সেটা আরো ১৫ শতাংশ করে বাড়তে থাকবে। সবমিলিয়ে ৫ বছরে একটি ফ্র্যাঞ্চাইজিকে মোট সাড়ে ১৩ কোটি টাকা ফি জমা দিতে হবে।
এ ছাড়া প্রতি আসরের আগে প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজিকে ৬ মাসের জন্য ১০ কোটি টাকা ব্যাংক গ্যারান্টি দিতে হবে। বিপিএলের আগামী আসর থেকে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের লভ্যাংশের ৩০ শতাংশ শেয়ার করবে বিসিবি।



