সাকিব আল হাসানের সাথে কথার লড়াই চলছে আসিফ মাহমুদের। সাকিবের বাউন্সারে এবার পাল্টা ছক্কা হাঁকালেন ক্রীড়া উপদেষ্টা। মনে করিয়ে দিলেন, সাকিবের হাত রক্তে ভেজা, তার নামে আছে হত্যা মামলা।
ঘটনার সূত্রপাত গতরাতে। রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) নিজের ফেসবুক পেইজে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান সাকিব আল হাসান।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সাকিব স্বৈরাচারী শেখ হাসিনাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে লেখেন, ‘শুভ জন্মদিন আপা।’ হাসিনার সাথে নিজের একটি ছবি দিয়েছেন সাকিব। যা ভালোভাবে নেননি ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার অন্যতম নায়ক, বর্তমান ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এর প্রতিক্রিয়া জানান। সরাসরি সাকিবের নাম উল্লেখ না করলেও তার ফেসবুক পোস্টের ভাষা সেই দিকেই ইঙ্গিত করে।
যেখানে আসিফ মাহমুদ লেখেন, ‘একজনকে পুনর্বাসন না করায় সহস্র গালি দিয়েছেন আপনারা আমাকে। বাট আই ওয়াজ রাইট। অ্যান্ড অব দ্য ডিসকাশন।’
তবে আসিফ মাহমুদের এই পোস্টের পর তার পাল্টা জবাব দিয়েছেন সাকিব। আরেকটি পোস্ট করে তিনি লিখেছেন-
‘যাক শেষমেষ কেউ একজন স্বীকার করে নিলেন যে তার জন্য আমার আর বাংলাদেশের জার্সি গায়ে দেয়া হলো না, বাংলাদেশের জন্য খেলতে পারলাম না! ফিরবো হয়তো কোন দিন আপন মাতৃভূমিতে, ভালোবাসি বাংলাদেশ।’
এরপর আসিফ মাহমুদ আর মন্তব্য না করলে, মনে হচ্ছিলো হয়তো ঘটনা এখানেই শেষ। তবে শেষ হয়েও হয়নি শেষ। তারপর সাকিবের পাল্টা স্ট্যাটাসের পর আজ সেটার জবাব দিয়েছেন আসিফ।
আজ বিকেল ৫টার দিকে আসিফ নিজের ফেসবুকে লিখেছেন, ‘ভাইয়া, আমাকে জোর করে নমিনেশন দেয়া হয়েছিল। আমি শুধু নির্বাচনটাই করেছিলাম, আওয়ামী লীগের দলীয় রাজনীতিতে জড়িত হইনি।’
এটুকু লেখার পর আসিফ ইংরেজিতে যোগ করেছেন, ‘ইউ নো হু।’ মানে কথাগুলো কার, সেটা আপনারা সবাই-ই জানেন। যদিও স্পষ্ট করে নাম বলেননি, তবে তার বক্তব্য যে সাকিবকে উদ্দেশ্য করেই, তা বোঝা গেছে পরের বক্তব্যেই।
বলেন, ‘যার হাত ছাত্র-জনতার রক্তে রঞ্জিত, তাকে বাংলাদেশের পতাকা বহন করতে দেয়ার প্রশ্নই ওঠে না। বোর্ডের কর্তারা একাধিকবার রাজনৈতিক অবস্থান পরিষ্কার করতে বললেও তা না করে বরং খুনিদের এনডোর্স করা ছাড়াও শেয়ার মার্কেট কেলেঙ্কারি, মানি লন্ডারিং, ফাইন্যান্সিয়াল ফ্রড করা কাউকে কেন শুধু ভালো ক্রিকেটার বলেই পুনর্বাসন করতে হবে? আইন সবার জন্য সমান, ফেস ইট।’