জাকের আলির ভুলটাই কাল হয়ে দাঁড়ালো। অভিষেকের ক্যাচ ছেড়ে যে বিপদ ডেকে এনেছেন তিনি, তার মাশুলই দিতে হলো। অন্যথায় হয়তো তৃপ্তি নিয়েই বোলিং ইনিংসটা শেষ করতে পারতো বাংলাদেশ।
এশিয়া কাপের সুপার ফোরের ম্যাচে আজ মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ ও ভারত। যেখানে উড়ন্ত সূচনা করলেও বেশিদূর ভারতকে উড়তে দেয়নি টাইগাররা, আটকে দিয়েছে ৬ উইকেটে ১৬৮ রানে।
রানটা আরো কম হতে পারতো, যদি তৃতীয় ওভার অভিষেক শর্মার ক্যাচটা মিস না করতেন জাকের আলি। তখন মাত্র ৫ বলে ৭ রানে ব্যাট করছিলেন তিনি, তবে জীবন পেয়ে শেষ পর্যন্ত করেন ৩৭ বলে ৭৫ রান!
ভারতের বিপক্ষে আজ একাদশে নেই লিটন দাস। অনুশীলনে চোট পাওয়ায় তাকে ছাড়াই মাঠে নামে টাইগাররা। দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন জাকের আলি। দুবাইয়ে টসে জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
বল হাতে শুরুটা ভালোই ছিল বাংলাদেশের। প্রথম ওভারে তানজিম সাকিবের হাতে বল তুলে দেন জাকের। প্রথম ওভারে কোনো বাউন্ডারি হজম করেননি এই পেসার। খরচ করেন মাত্র ৩ রান।
দ্বিতীয় ওভারে নাসুম আহমেদও দারুণ বোলিং করেন। একটি বাউন্ডারি খেলেও তিনি মোটে দেন ৭ রান। তানজিমে করা তৃতীয় ওভারের তৃতীয় বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলেছিলেন অভিষেক শর্মা।
তবে ক্যাচ নিতে পারেননি অধিনায়ক জাকের। তখন ৫ বলে মাত্র ৭ রানে ব্যাট করছিলেন অভিষেক। তবে জীবন পেয়ে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছেন তিনি। পরের ওভারেই শুভমান গিলকে নিয়ে নাসুমের থেকে রান নিয়েছেন ২১!
পরের ওভারে মোস্তাফিজের থেকে আদায় করেন ১৭। ৫ ওভারেই আসে ৫৫ রান। পরের ওভারে এসে সাইফুদ্দিনও দিয়েছেন সমান ১৭ রান। সব মিলিয়ে পাওয়ার প্লেতে এসেছে বিনা উইকেটে ৭২ রান।
বাংলাদেশ প্রথম উইকেটের দেখা পায় পাওয়ার প্লে শেষ হতেই। ৬.২ ওভারে দলীয় ৭৭ রানে প্রথম উইকেটের পতন হয়। ১৯ বলে ২৯ করে তানজিম সাকিবকে ক্যাচ দেন শুভমান গিল।
দ্বিতীয় উইকেট পেতেও দেরি হয়নি রিশাদের, পরের ওভারে বল হাতে এসেই ফেরান শিভাম দুবেকে (২)। ৮৩ রানে ২ উইকেট হারায় ভারত। এর মাঝেই অবশ্য ২৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন অভিষেক শর্মা।
অভিষেক ছিলেন শতকের পথেই, তবে ১১.১ ওভারে দলীয় ১১২ রানে রান আউট হলে শেষ হয় সেই শঙ্কা। তবে ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। ফেরার আগে করেন ৬ চার ৫ ছক্কায় ৩৭ বলে ৭৫ রান।
একই ওভারে সূর্য কুমার যাদবকে ফেরান মোস্তাফিজ। ভারতীয় দলপতি ফেরেন ১১ বলে ৫ করে। পরের উইকেট এনে দেন তানজিম সাকিব। শুরু থেকেই দারুণ বল করা এই পেসার ফেরান তিলক ভার্মাকে (৫)।
১৪.৩ ওভারে ১৩৪ রানে ৫ উইকেট হারায় ভারত। তারপর কমে আসে ভারতের রানের গতি। প্রথম ১১ ওভারে ২ উইকেটে ১১২ রান করা ভারত শেষ ৯ ওভারে করতে পারে ৫৬ রান।
এই রান পর্যন্ত পৌঁছাতে বড় অবদান হার্দিক পান্ডিয়ার। ২৯ বলে ৩৮ রান করেন তিনি। আউট হয়েছেন সাইফুদ্দিনের করা ইনিংসের শেষ বলে। ১৫ বলে ১০* রান করেন অক্ষর প্যাটেল।
বল হাতে রিশাদ ২৭ রানে ২, সাকিব, মোস্তাফিজ ও সাইফুদ্দিন নেন ১টি করে উইকেট। একমাত্র উইকেট নেয়ার পথে মোস্তাফিজ পেয়েছেন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১৫০ উইকেটের দেখা।