৩০১ রানের লিড নিয়ে ইনিংস ঘোষণা বাংলাদেশের

এরপর বাকিদের কেউ বলার মতো রান করতে পারেননি। তবে তাদের ছোট ছোট ইনিংসই আরো খানিকটা এগিয়ে দেয় দলকে। আইরিশদের হয়ে বল হাতে ৫ উইকেট নিয়েছেন ম্যাথু হামপ্রেইস।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
সিলেট টেস্টের তৃতীয় দিনে নাজমুল হাসান শান্ত ও মুশফিকুর রহিম
সিলেট টেস্টের তৃতীয় দিনে নাজমুল হাসান শান্ত ও মুশফিকুর রহিম |ক্রিকইনফো থেকে নেয়া ছবি

চা বিরতি থেকে ফিরে বেশি দেরি করেনি বাংলাদেশ, করেছে ইনিংস ঘোষণা। তবে এর আগেই বড় পুঁজি পেয়ে গেছে টাইগাররা। ৮ উইকেটে ৫৮৭ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেছে তারা, যা দেশের মাটিতে তৃতীয় বৃহত্তম স্কোর।

সিলেটে বড় পুঁজি গড়ার পথে লিড দাঁড়িয়েছে ৩০১ রান। টেস্টে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের এটি দ্বিতীয় বৃহত্তম লিড। ২০১৮ সালে মিরপুরে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ ৩৯৭ রানের লিড পেয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে।

প্রায় ৬ শ’ রানের এই সংগ্রহ পেতে বড় ভূমিকা রেখেছেন মাহমুদুল হাসান জয়। ১৭১ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। এছাড়া সাদমান ইসলাম ৮০, মুমিনুল হক ৮২ ও নাজমুল হোসেন শান্ত ১০০ রান করেন।

টেস্টে এই প্রথম এক ইনিংসে বাংলাদেশের প্রথম চার ব্যাটসম্যানই ফিফটি পেলেন। পাঁচে নামা মুশফিকুর রহিম (২৩) ব্যর্থ না হলে সংখ্যাটা বাড়তে পারতো আরো, ছয়ে নেমে লিটন দাসও খেলেন ৬৬ বলে ৬০ রানের ইনিংস।

১৩৮ ওভারে সাত উইকেটে ৫৭৫ রান করে চা-বিরতিতে যায় বাংলাদেশ, লিড তখন ২৮৯ রানের। ফিরে এসে ১ উইকেট হারিয়ে আর ১২ রান তুলতেই ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। ততক্ষণে লিড তিন শ’ পেরিয়েছে।

বৃহস্পতিবার তৃতীয় দিনের শুরুটা হয়েছিল হোঁচট খেয়ে। থিতু হতে পারেননি মাহমুদুল হাসান জয় ও মুমিনুল হক। দুজনেই ফেরেন আক্ষেপ নিয়ে। দ্বি শতক পাওয়া হয়নি জয়ের (১৭১), সেঞ্চুরি মিস করেন মুমিনুল (৮২)।

শুরুর সেই ধাক্কা সামলে উঠতে সময় নেয়নি বাংলাদেশ। হাল ধরেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ক্যারিয়ারের ৯৯তম টেস্ট খেলতে নামা মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে গড়েন ১০৩ বলে ৭৯ রানের জুটি।

মুশফিক ২৩ রানে আটকে গেলেও শান্ত এগিয়ে যান শতকের দিকে। সাথে পান লিটন দাসকে। দুজনে মিলে পাল্লা দিয়ে বাড়াতে থাকেন রান। লিটন ৬৬ বলে ৬০ রান করে আউট হন। শান্ত সেঞ্চুরি উদযাপন করেন মেহেদী মিরাজের সাথে।

১১২ বলে তিন অঙ্কে পৌঁছানোর পর অবশ্য ইনিংস আর বড় করতে পারেননি। সেঞ্চুরি করার এক বল পরই এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে গেছেন নাজমুল। ম্যাকব্রাইনের বলে ফেরেন ঠিক ১০০ রান করে।

এরপর বাকিদের কেউ বলার মতো রান করতে পারেননি। তবে তাদের ছোট ছোট ইনিংসই আরো খানিকটা এগিয়ে দেয় দলকে। আইরিশদের হয়ে বল হাতে ৫ উইকেট নিয়েছেন ম্যাথু হামপ্রেইস।