বিজয়ের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানে প্রধান কোচ ও প্রধান নির্বাচক

বাংলাদেশ ক্রিকেটে সমস্যার এমনিতেই শেষ নেই। বিতর্ক লেগেই থাকে বারো মাসের প্রতিটা দিন। এবার আরো একবার বিতর্কের মুখে দেশের ক্রিকেট। টেস্ট দলে বিজয়ের...

নয়া দিগন্ত অনলাইন
এনামুল হক বিজয়
এনামুল হক বিজয় |সংগৃহীত

বাংলাদেশ ক্রিকেটে সমস্যার এমনিতেই শেষ নেই। বিতর্ক লেগেই থাকে বারো মাসের প্রতিটা দিন। এবার আরো একবার বিতর্কের মুখে দেশের ক্রিকেট। টেস্ট দলে বিজয়ের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানে প্রধান কোচ ও প্রধান নির্বাচক।

বিতর্ক অবশ্য হবারই কথা ছিল। রান বন্যা বইয়ে দিয়ে বিজয় জাতীয় দলে এলেও, ফরম্যাট হলো ভিন্ন। ওয়ানডে ফরম্যাটে রানে থাকা বিজয়কে ডেকে নেয়া হয়েছে টেস্টে। অথচ ভীষণ বাজে তার টেস্ট ক্যারিয়ার।

এনামুল হক বিজয়কে ডাকা হয়েছে মূলত জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ওপেনাররা ভালো করতে না পারায়। মাহমুদুল হাসান জয় ও সাদমান ইসলামের কেউ সুবিধা করতে পারেননি। যদিও তাদের দলে রেখেই বিজয়কে আনা হয়েছে দলে।

বিজয়ের অন্তর্ভুক্তি স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন তুলে ক্রিকেট মহলে। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে রানে থাকায় খুব একটা আলোচনা হয়নি। তবে প্রধান কোচ ফিল সিমন্স চুপ থাকেননি। দল নির্বাচন প্রক্রিয়া যে তার পছন্দ হয়নি, বলেছেন স্পষ্টই।

সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আগামীকাল (সোমবার) চট্টগ্রামে মাঠে নামার আগে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে আসেন প্রধান কোচ ফিল সিমন্স। সেখানেই তিনি প্রশ্ন তুলেন।

প্রধান কোচ বলেন, ‘এটা আদর্শ উদাহরণ নয়। এভাবে কাউকে দলে নেয়া উচিত না। কিন্তু বাংলাদেশের ক্রিকেট সিস্টেমটাই তো এমন। এখানে ঘরোয়া ক্রিকেটে সবার শেষে হয় লঙ্গার ভার্সন ম্যাচ। বছরের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় মূল্যায়ন করতে।’

‘তাই বিপিএল আর ডিপিএলের পারফরম্যান্স দিয়ে এখানে দল গোছানো হয়। আমাদের ওপেনিংয়ে সমস্যা আছে, তাই বিজয়কে নেয়া হয়েছে। কিন্তু এই প্রক্রিয়াটা আদর্শ নয়।’

এর আগে দ্বিতীয় টেস্টের আগে হঠাৎ বিজয়ের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে প্রধান নির্বাচক বলেছিলেন, ‘বিজয় অবশ্যই অনেক ভালো ফর্মে আছে। তাকে দলে নেয়ার ক্ষেত্রে কোনো বাধা ছিল না।’

অবশ্য সাদা বলের ক্রিকেটে সত্যিই ভালো ছন্দে আছেন বিজয়। এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ১৪ ম্যাচে ৪ সেঞ্চুরিতে ৮৭৪ রান করে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের এই ওপেনার।

যদিও জাতীয় দলের হয়ে সাদা পোশাকে ব্যর্থ বিজয়। অভিষেকের পর বিজয় এখন পর্যন্ত টেস্ট খেলেছেন মোট ৫টি। যেখানে নেই কোনো ফিফটি, সর্বোচ্চ করেছেন ২৩ রান।

অবশ্য ঘরোয়া ক্রিকেটে লাল বলেও বিজয়ের অবস্থা মন্দ নয়। গত জাতীয় ক্রিকেট লিগে ৭ ম্যাচে ৬৭.৩৭ গড়ে ৭০০ রান করেছিলেন।

উল্লেখ্য, আগামীকাল ২৮ এপ্রিল চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লে. মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে মুখোমুখি হবে দুই দল। প্রথম টেস্ট জিতে ইতোমধ্যে সিরিজে এগিয়ে আছে জিম্বাবুয়ে।