ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে সিরিজ হারলো বাংলাদেশ। টানা পঞ্চম সিরিজ জয়ের স্বাদ পাওয়া হলো না টাইগারদের, গড়া হলো না রেকর্ড। অভাবনীয়ভাবে হেরে গেছে টাইগাররা। তানজিদ তামিমের ফিফটিও বাঁচাতে পারলো না দলকে।
চট্টগ্রামে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ১৪ রানে হেরে গেছে বাংলাদেশ। যেখানে টসে জিতে আগে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ১৪৯ রানের পুঁজি পায় ক্যারিবীয়রা। বিপরীতে ৮ উইকেটে ১৩৫ রান তুলতে পারে স্বাগতিক দল।
তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতেও হেরেছিল টাইগাররা। আর আজ হেরে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ হাতছাড়া হলো বাংলাদেশের। টানা চার সিরিজ জিতে উড়তে থাকা লিটনদের লজ্জায় ফেলল ক্যারিবীয়রা।
রান তাড়ায় অবশ্য দেখেশুনেই শুরু করে বাংলাদেশ। প্রথম ২২ বলে ১৩ রান যোগ করেন সাইফ হাসান ও তানজিদ তামিম। এরপরই ভাঙে জুটি, জীবন পেয়েও ১১ বলে ৫ রানের বেশি করতে পারেননি সাইফ।
তিনে নেমে রানের গতি বাড়ান লিটন দাস। তবে ইনিংস বড় হয়নি তার, ১৭ বলে ২৩ রান করে উইকেট দিয়ে আসেন আকিল হোসেনকে। এরপর তামিমের সঙ্গী হন তাওহীদ হৃদয়। কিন্তু বড় হয়নি এই জুটিও।
২৮ বলে ৩৭ রানের জুটি ভাঙে হৃদয় ১৪ বলে ১২ রানে আউট হলে। তবে একপাশ আগলে ৩৮ বলে ফিফটি তুলে নেন তামিম, ১৫ ওভারে ১০০ রানে পৌঁছায় বাংলাদেশ। জয়ের জন্য তখনো চাই ৩০ বলে ৫০ রান।
যখন ১৮ বলে চাই ৩৩ রান, তখন ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তামিম। ৪৮ বলে শেষ হয় তার ৬১ রানের ইনিংস। শেফার্ডের একই ওভারের শেষ বলে ফেরেন জাকের আলিও, ১৮ বলে ১৭ রান করে আউট হন তিনি।
আর পরের ওভারের প্রথম বলে ফেরেন শামিম পাটোয়ারী (২)। ১২৪ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। ১১ বলে প্রয়োজন হয় ২৬ রানের। যেই সমীকরণ আর মেলানো হয়নি। রিশাদরা আজ জ্বলে উঠতে পারেননি।
আকিল হোসেন ও রোমারিও শেফার্ড নেন ৩টি করে উইকেট। ২ উইকেট নেন জেসন হোল্ডার।
এর আগে ব্রেন্ডন কিংকে (১) ফিরিয়ে বল হাতে যদিও শুভসূচনা পেয়েছিল বাংলাদেশ, তবে এরপর খেই হারায়। শাইহোপ ও অ্যালিক আথানেজ চাপে ফেলে দেন স্বাগতিকদের। সেই চাপ ভেঙে ঘুরে দাঁড়াতে পেরিয়ে যায় ১১ ওভার।
পাওয়ারপ্লেতেই ৫০ রান যোগ করে আথানেজ-শাইহোপ জুটি। আর কোনো উইকেট না হারিয়ে ১০ ওভারে আসে ৯৪ রান। ফলে বড় সংগ্রহের পথেই হাঁটছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেই সম্ভাবনায় বাধ সাধেন নাসুম আহমেদ।
ইনিংসের ১২তম ওভারে এসে টানা দুই বলে ২ উইকেট তুলে নেন তিনি। ১০৫ রানের জুটি ভেঙে প্রথমে ফেরান আথানেজকে, ৩৩ বলে ৫২ রানে আউট হন এই ব্যাটার। পরের বলেই ফেরান শেরফানে রাদারফোর্ডকে (০)।
উদযাপনের মুহূর্ত দীর্ঘায়িত করেন মোস্তাফিজুর রহমান। পরের ওভারে এসে ৩৬ বলে ৫৫ রান করে ফেলা শাইহোপকে থামান তিনি। তাতেই বদলে যায় ম্যাচের গতিপথ। এরপর দৃশ্যপটে আসেন রিশাদ হোসেন।
১৫তম ওভারে এসেই ফেরান আগের ম্যাচে দারুণ ব্যাট করা রভম্যান পাওয়েলকে। থিতু হবার আগেই বোকা বানান তাকে (৩)। সেই ওভারে ফেরান জেসন হোল্ডারকেও, ৪ রান করে হৃদয়কে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি।
ফলে ১১.১ ওভারে ১ উইকেটে ১০৬ রান করে ফেলা ক্যারিবীয়রা ১৫ ওভারে ১১৮ রানে পৌঁছায় ৬ উইকেট হারিয়ে। মাঝের ১২ রান তুলতেই হারায় ৫ উইকেট। এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি তারা।
শেষ ওভারে ঝলক দেখান মোস্তাফিজ। টানা দুই বলে ফেরান রোমারিও শেফার্ড ও খেরি পিয়েরেকে। রোস্টন চেজের ১৭* রানে ভর করে শেষ পর্যন্ত ১৪৯ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মোস্তাফিজ ৩, রিশাদ ও নাসুম নেন ২ টি করে উইকেট।



