এবার আফগানিস্তানের কাছে ধরাশায়ী পাকিস্তান

সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচে আগে ব্যাট করা দল জিতেছে। সে কারণেই হয়তো রশিদ খান আজ টসে জিতে পাকিস্তানকে বোলিংয়ে পাঠাতে দ্বিতীয়বার ভাবেননি। আগে ব্যাট করে আফগানরা।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
উইকেট শিকারের পর আফগানিস্তানের উদযাপন
উইকেট শিকারের পর আফগানিস্তানের উদযাপন |ইন্টারনেট

সিরিজে প্রথম দেখায় পাকিস্তানের সাথে পেরে উঠেনি আফগানিস্তান, তবে দ্বিতীয় ম্যাচে ঠিকই ঘুরে দাঁড়িয়েছে রশিদ খানের দল। এবার ধরাশায়ী করেছে পাকিস্তানকে, নিয়েছে প্রতিশোধ।

শারজায় মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) পাকিস্তানকে ১৮ রানে হারিয়েছে আফগানিস্তান। ১৭০ রান তাড়া করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫১ রানে থামে সালমান আগার দল।

একটা সময় গলায় গলায় বেশ ভাব থাকলেও পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যকার সম্পর্কটা এখন আর তেমন নেই। রাজনৈতিক বৈরিতার সাথে যোগ হয়েছে ক্রিকেটের বৈরিতাও। সব মিলিয়ে দু’দলের লড়াই বেশ উত্তেজনা ছড়ায়।

সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচে আগে ব্যাট করা দল জিতেছে। সে কারণেই হয়তো রশিদ খান আজ টসে জিতে পাকিস্তানকে বোলিংয়ে পাঠাতে দ্বিতীয়বার ভাবেননি। আগে ব্যাট করে আফগানরা।

দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায় আফগানিস্তান। রাহমানুল্লাহ গুরবাজ ফেরেন ৮ রানে। শুরুর ধাক্কা সামল দিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে শত রানের জুটি গড়েন সাদিকউল্লাহ ও ইব্রাহিম জাদরান।

শুরুতে বেশ সময় নেন তারা। পাওয়ার প্লেতে আসে কেবল ৩৪ রান, ১০ ওভারে ৭৩। তবে এরপর গতি বাড়িয়ে তিন অঙ্কে যায় ৭০ বলে। তাদের ১১৩ রানের জুটি ভাঙেন ফাহিম আশরাফ।

৪৫ বলে ৬৪ করা আতালকে ফেরান তিনি। এরপর সমান বলে ৬৫ রান করা জাদরানকেও ফেরান তিনি। এরপর অবশ্য আজমতুল্লাহ ওমরজাই ও মোহাম্মদ নাবিকেও ফেরান আশরাফ।

৫ উইকেটে ১৬৯ রানে শেষ হয় আফগানিস্তানের ইনিংস। ফাহিম আশরাফ ২৭ রানে নেন ৪ উইকেট, যা টি-টোয়েন্টিতে তার ক্যারিয়ারসেরা।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই সাইম আইয়ুবের (০) উইকেট হারায় পাকিস্তান। সাহিবজাদা ফারহান (১৮) ভালো শুরু করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। দু'জনকেই ফেরান ফারুকী।

এরপর অভিজ্ঞ ফখর জামান অধিনায়ক সালমানকে নিয়ে ভালোই এগিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু এই জুটি ভাঙার পর টপাটপ উইকেট হারাতে থাকে পাকিস্তান। ৬২/২ থেকে ১১১/৯-এর দলে পরিণত হয় তারা।

ফখর জামান ১৮ বলে ২৫ ও সালমান আউট হন ১৫ বলে ২০ করে। আর কেউ বলার মতো কিছু করতে পারেননি। দশম উইকেটে ৪০ রানের জুটিতে পরাজয়ের ব‍্যবধান কমায় পাকিস্তান।

যেখানে বড় অবদান হারিস রউফের। চার ছক্কায় ১৬ বলে তিনি করেন ৩৪ রান। নুর আহমেদ, মোহাম্মদ নবী, রশিদ খান ও ফজলহক ফারুকি নেন দু’টি করে উইকেট।