সাদমান-আইচের শতরানের জুটি, স্বস্তির জয় ঢাকা মেট্রোর

বিপিএলে এখন পর্যন্ত চার আসরে খেলেছেন সাদমান। শেষবার খেলেছেন ২০১৯-২০ সালে। এরপর আর বিপিএলে খেলা হয়নি, তবে এবার সুযোগ মিলেছে এনসিএলে। সুযোগ কাজে লাগালেন তিনি।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
মাত্র এক রানের জন্য হাফসেঞ্চুরি বঞ্চিত হয়েছেন সাদমান ইসলাম
মাত্র এক রানের জন্য হাফসেঞ্চুরি বঞ্চিত হয়েছেন সাদমান ইসলাম |সংগৃহীত

জাতীয় দলের হয়ে ২৪টি টেস্ট ম্যাচ খেলে ফেললেও কখনো ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টিতে বিবেচিত হননি সাদমান। এমনকি বিপিএলেও ডাক মেলে না তার। সেই আক্ষেপ যেন ঘোচালেন আজ।

মঙ্গলবার সিলেটকে ২৩ রানে হারানোর ম্যাচে ঢাকা মেট্রোর হয়ে সাদমান খেলেন ৩২ বলে ৪৯ রানের ইনিংস। এ ছাড়া ৩৩ বলে ৫৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন আইচ মোল্লা। মেট্রোর স্কোর দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ১৬১ রান।

বিপরীতে সিলেটের ইনিংস থামে ৯ উইকেটে ১৩৮ রান করে। ফলে মৌসুমে চার ম্যাচে দ্বিতীয় জয়ের দেখা পেল ঢাকা মেট্রো। আছে পয়েন্ট টেবিলের তিনে।

বিপিএলে এখন পর্যন্ত চার আসরে খেলেছেন সাদমান। শেষবার খেলেছেন ২০১৯-২০ সালে। এরপর আর বিপিএলে খেলা হয়নি, তবে এবার সুযোগ মিলেছে এনসিএলে। সুযোগ কাজে লাগালেন তিনি।

টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নাইম শেখ ৩২ বলে ৩৬ ও ২৩ বলে ১৮ রান করেন অন্য ওপেনার মাহফিজুল ইসলাম। এরপর ১০১ রানের জুটি গড়েন সাদমান ও আইচ মোল্লা।

২ উইকেটে ৬০ রান থেকে দলকে ১৬১ রানে নিয়ে যান এই দুজন মিলে। আইচ ফিফটি পেলেও ১৯.৪ ওভারে ৪৯ করে থামতে হয় সাদমানকে।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় সিলেট। সবাই রানের দেখা পেলেও কেউ পারেননি ইনিংস বড় করতে। খালিদ হাসান ও অমিত হাসান করেন সমান ২৪ রান।

আসাদুল্লাহ গালিব ২৩ ও রেজাউর রহমান করেন ১১ বলে ১৭ রান। সিলেটের ইনিংস থামে ৯ উইকেটে ১৩৮ রানে। ২৪ রানে তিন উইকেট নেন শহিদুল। দুটি করে উইকেট নেন আবু হায়দার ও মারুফ।