জয়ের ধারায় ফিরল রাজশাহী, নোয়াখালীর হ্যাটট্রিক হার

মুশফিক ৩০ বলে ২৮ ও ইয়াসির আলী ২৬ বলে ২৩ রানে অপরাজিত থাকেন। নোয়াখালীর হয়ে হাসান মাহমুদ নেন ২ উইকেট।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
সংগৃহীত

জয়ের ধারায় ফিরল রাজশাহী। এক ম্যাচ পর আবারো হাসিমুখে মাঠ ছাড়ল নাজমুল হোসেন শান্তর দল। এবার তাদের শিকার নোয়াখালী এক্সপ্রেস। টানা হেরেই চলেছে দলটা, তিন ম্যাচ খেলেও জয়হীন নোয়াখালী।

সোমবার সিলেটে নোয়াখালীকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে রাজশাহী ওয়ারিয়র্স। এদিন আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১২৪ রান করে নোয়াখালী। জবাবে ১৭.৫ ওভারে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় ওয়ারিয়র্সরা।

জয়ের ভিত গড়ে দেন বোলাররাই। আরো সহজ করে বললে রিপন মণ্ডল। আসরে প্রথমবার মাঠে নেমেই নোয়াখালীর ব্যাটারদের কাঁপিয়ে দিয়েছেন তিনি। এক মেডেনসহ মাত্র ১৩ রান খরচায় নিয়েছেন ৪ উইকেট।

যা রিপনের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। উইকেট সংখ্যা আরো একটা বাড়তে পারতো, তার করা শেষ বলে স্লিপে ফিল্ডার ক্যাচ নিতে পারলে প্রথম ৫ উইকেটও পেয়ে যেতে পারতেন! সাথে ২ উইকেট নেন তানজিম সাকিব।

দুই পেসারের তাণ্ডবে সুবিধা করতে পারেনি নোয়াখালী। অধিনায়ক হায়দার আলীর ২৮ বলে ৩৩ রান ইনিংস সেরা। মাজ সাদাকাত ২৫ ও মাহিদুল ইসলাম ২৭ বল করেন ২২ রান। আর কেউ বলার মতো রান পাননি।

যথারীতি ব্যর্থ ছিলেন হাবিবুর রহমান সোহান। তিন ম্যাচে তার রান ১৫, ০ ও ৫। সাব্বির হোসেন ৫ ও ১৫ রানের পর আজ করেন ১১ বলে ৬ করেন রান। আর জাতীয় দলের তারকা জাকের আলী করেন ৬ রান।

রান তাড়ায় ব্যর্থ ছিলেন সাহিবজাদা ফারহান (২)। এরপর তানজিদ তামিম ও নাজমুল হোসেন শান্ত মিলে গড়েন ৩৮ বলে ৬৫ রানের জুটি। তবে কারো ইনিংস বড় হয়নি, ২০ বলে ২৪ রানে আউট হন রাজশাহী অধিনায়ক।

সমান বলে ২৯ রানে আউট হন তানজিদ তামিম। এরপর হোসেন তালাত (২) আউট হলেও আর বিপদ আসতে দেননি মুশফিকুর রহিম ও ইয়াসির আলী। দুজনে ৫২ রানের জুটি গড়ে জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন।

মুশফিক ৩০ বলে ২৮ ও ইয়াসির আলী ২৬ বলে ২৩ রানে অপরাজিত থাকেন। নোয়াখালীর হয়ে হাসান মাহমুদ নেন ২ উইকেট।