প্রথম তিনদিনেই জয়ের সুরটা বেঁধে ফেলেছিল বাংলাদেশ, বাকি ছিল কেবল আনুষ্ঠানিকতা। চতুর্থ দিনে তা সারতে খুব বেশি সময় নিলো না টাইগাররা। মধ্যাহ্নভোজের পর পরই হাসিমুখে মাঠ ছাড়লো নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে আয়ারল্যান্ডকে ইনিংস ও ৪৭ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। শুক্রবার চতুর্থ দিনে এসে ৭০.২ ওভারে ২৫৪ গুটিয়ে দেয় আইরিশরের দ্বিতীয় ইনিংস।
এর আগে সোমবার সিলেটে আয়ারল্যান্ডের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। যেখানে টসে জিতে আগে ব্যাট করে প্রথম ইনিংসে ২৮৬ রান করে আইরিশরা। জবাবে রেকর্ড ৫৮৭ রানের পুঁজি নিয়ে ইনিংস ঘোষণা করে স্বাগতিকেরা।
দেশের মাটিতে সর্বোচ্চ স্কোর রানের পুঁজি পেতে ১৭১ রানের ইনিংস খেলেন মাহমুদুল হাসান জয়, সেঞ্চুরি করেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও। ফলে ৩০১ রানের লিড পায় টাইগাররা।
ইনিংস ব্যবধানে জয়ের সুবাস নিয়েই বৃহস্পতিবার সিলেট টেস্টের তৃতীয় দিনটা শেষ করে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৮৬ রানে আইরিশদের ৫ উইকেট তুলে নেয় হাসান মুরাদ-নাহিদ রানারা।
চতুর্থ দিন মাঠে নেমে সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি, চেষ্টা করেও জুটি বড় করতে পারেননি এন্ডি ম্যাকব্রিনি ও ম্যাথু হামফ্রিস। দলীয় ১১৬ রানে ৬ষ্ঠ উইকেট হারায় আইরিশরা।
তাইজুলের বলে সুইপ খেলতে গিয়ে স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন হামফ্রিস। তিনি করেন ১৬ রান। এরপর অধিনায়ক এন্ড্রু বালবির্নিকে নিয়ে ইনিংস বড় করার চেষ্টা করেন ম্যাকব্রিনি। ৬৬ রানের জুটিও গড়ে তুলেন তারা।
বালবির্নি ৬৩ বলে ৩৮ রান করে আউট হলেও ফিফটি তুলে নেন ম্যাকব্রিনি। ৫২ রানে শেষ হয় তার ইনিংস। এছাড়া জর্ডান নিল ৩৬ ও ব্যারি ম্যাকার্থি ২৫ রান করেন। যা কেবল হারের ব্যবধান কমায়।
বাংলাদেশের হয়ে অভিষিক্ত হাসান মুরাদ ৪, তাইজুল ইসলাম ৩ ও নাহিদ রানা নেন ২ উইকেট।



