সিরিজে ফিরতে মরিয়া বাংলাদেশ আফগানিস্তানকে আটকে দিয়েছে দুই শ’ পেরোনোর আগেই। মিরাজ-রিশাদের ঘূর্ণিতে ৪৪.৫ ওভারে ১৯০ রানেই শেষ আফগানদের ইনিংস। যা আবুধাবিতে তাদের সর্বনিম্ন সংগ্রহ।
তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে শনিবার (১১ অক্টোবর) মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান। আবুধাবিতে টসে জিতে আগে ব্যাট করছে আফগানরা। প্রথম ম্যাচে তারা জিতেছিল ৫ উইকেটে। ফলে সিরিজে ফিরতে ম্যাচটা গুরুত্বপূর্ণ মিরাজদের জন্য।
তবে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ভয়ের কারণ হয়ে উঠেছিলেন রাহমানুল্লাহ গুরবাজ। চার-ছক্কা হাঁকিয়ে দিয়েছিলেন আভাস। তবে তাকে বেশিক্ষণ মাঠে থাকতে দেননি তানজিম সাকিব, ১১ বলে ১১ রানেই থানান।
গুরবাজের বিদায়ে ৪.৫ ওভারে ১৮ রানে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি সেদিকুল্লাহ আতাল (১৩)। ৮.৪ ওভারে দলীয় ৩৮ রানে তাকে আউট করেন তানভীর ইসলাম।
আগের ম্যাচে ফিফটি করেন রহমত শাহ। তবে এদিন মাঠ ছাড়েন দ্রুত (৯)। তবে আউট হয়ে নয় রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে। মাঠে নেমে থিতু হতে পারেননি হাশমতুল্লাহ শাহিদিও, মেহেদী মিরাজের শিকার হন মাত্র ৪ রান নিয়ে।
মাত্র ১ রান যোগ হতেই ফেরেন আগের ম্যাচে আফগানদের জয়ের নায়ক আজমতুল্লাহ ওমরজাই। আজ রানের খাতা খোলার আগেই রিশাদের ফাঁদে পড়েন। ১৮.৪ ওভার শেষে স্কোর দাঁড়ায় ৭৯/৫ (রিটায়ার্ড হার্টসহ)।
এরপর মোহাম্মদ নাবিকে নিয়ে ইনিংস টানতে থাকেন ইবরাহীম জাদরান। দু’জনে মিলে ৬৩ বলে গড়েন ৩৯ রানের জুটি। তবে নাবি ইনিংস বড় করতে পারেননি, ৩০ বলে ২২ করে তানজিম সাকিবকে উইকেট দিয়ে আসেন।
এরপর নানগেলিয়া খারোতেকে নিয়ে ইনিংস টানতে থাকেন ইবরাহীম। দলকে দেড় শ’ রানে পৌঁছে দিয়ে খারোতে ফেরেন রান আউট হয়ে ১৩ রান নিয়ে। নয়ে নানা রশিদ খানকে (১) টিকতে দেননি মিরাজ।
এরপর মোহাম্মদ গাজাফারকে নিয়ে সেঞ্চুরির পথে ছুটতে থাকেন ইবরাহীম। তবে সেই লক্ষ্য পূরণ হয়নি, ১৪০ বলে ৯৫ করে মিরাজের শিকার হন তিনি। পরের ওভারেই গাজাফারকে (২২) ফেরান রিশাদ।
১৯০ রানে ৯ উইকেট হারায় আফগানরা। এরপর রহমত শাহ ফের মাঠে নেমে এলেও ১ বল পর ফের চোটে পড়লে শেষ হয় আফগানিস্তানের ইনিংস। মিরাজ ৩, তানজিম সাকিব ও রিশাদ দেন দুটো করে উইকেট।