নাসুম আহমেদ যখন দেশ ছেড়েছিলেন, তখন তাকে নিয়ে সমালোচনার অন্ত ছিল না। অনেকটা মন খারাপ করেই উড়াল দিয়েছিলেন আরব আমিরাতের উদ্দেশে। তবে যখন ঘরে ফিরবেন, তখন নিশ্চয়ই বদলে যাবে দৃশ্যটা।
নাসুম আহমেদ ও তার ‘বাবা’কে নিয়ে এশিয়া কাপের আগে কম বিতর্ক হয়নি। নাসুম যেন হঠাৎ করেই সবার কাছে হয়ে উঠেছিলেন নিন্দিত। তবে নিন্দাকে বন্দনায় রূপ দিতে দেরি করেননি তিনি।
অবশ্য এশিয়া কাপের প্রথম দুই ম্যাচে তার মাঠে নামা হয়নি। হংকং ও শ্রীলঙ্কার সাথে বাংলাদেশ খেলেছে নাসুমকে ছাড়াই। তবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে সুযোগ হয় তার।
সুযোগ পেয়েই নাসুম দেখান ঝলক। একদম প্রথম বল থেকেই আঘাত করেন তিনি। সব মিলিয়ে মাত্র ১১ রানে নেন ২ উইকেট। সুবাদে আফগানদের বিপক্ষে ৮ রনের জয় অয়ায় বাংলাদেশ।
এই জয়ে ম্যাচ সেরা হন নাসুম। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে যা ছিল তার পঞ্চম ম্যাচ সেরার পুরস্কার। সেই ম্যাচে ভালো করার সুবাদে আফগানদের বিপক্ষে দ্বিপক্ষীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজেও সুযোগ মেলে নাসুমের।
প্রথম ম্যাচে এক উইকেট নেয়া এই বাঁহাতি স্পিনার পরের দুই ম্যাচে তুলেছেন আরো দু’টি করে। সিরিজে ৫ উইকেটে সুবাধে হয়েছেন সিরিজসেরা। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার সিরিজ সেরার পুরস্কার জিতলেন নাসুম।
নাসুম তার প্রথম সিরিজসেরার পুরস্কার জেতেন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে, ২০২১ সালে। দেশের মাটিতে ৫ ম্যাচের ওই সিরিজে ৮ উইকেট তুলেছিলেন।
রোববার ম্যাচ সেরার পুরস্কার হাতে নাসুম বলেন, ‘এটাই প্রথমবার নয় যে আমি এমনভাবে বোলিং করেছি। নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও আমি প্রায় একই রকম, বরং তার চেয়েও ভালো পারফরম্যান্স করেছি।’
এই সময় শারজার উইকেট নিয়েও কথা বলেন তিনি। ‘উইকেট কিছুটা ধীর ছিল। সেটা কাজে লাগাতে চেয়েছিলাম এবং বোলিংয়ে বৈচিত্র্য আনতে চেষ্টা করেছি। সেটাই আমার লক্ষ্য ছিল এবং আমি তাতে সফল হয়েছি।’