নারী বিশ্বকাপ

শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ভারতকে হারিয়ে শেষ চারে ইংল্যান্ড

আসরে প্রথম দুই ম্যাচে জয়ের পর টানা তৃতীয় হারের তেতো স্বাদ পেল হরমনপ্রিত কৌরের দল। তাতে কঠিন হচ্ছে সেমিফাইনাল সমীকরণ।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
নারী বিশ্বকাপে ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচের একটি দৃশ্য
নারী বিশ্বকাপে ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচের একটি দৃশ্য |সংগৃহীত

শেষ চারে উঠার অপেক্ষা বাড়ছে ভারতের। স্বাগতিকদের অপেক্ষায় রেখে তৃতীয় দল হিসেবে সেমিফাইনালের টিকিট কেটেছে ইংল্যান্ড। শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই হলেও শেষ পর্যন্ত স্মৃতি মান্ধানাদের হতাশ হতে হয়।

নারী বিশ্বকাপের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ৪ রানের জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড। ইন্দোরে রোববার হিদার নাইটের সেঞ্চুরিতে ৮ উইকেটে ২৮৮ রানের পুঁজি গড়ে ইংল্যান্ড। জবাবে ৬ উইকেটে ২৮৪ রান পর্যন্ত পৌঁছায় ভারত।

আসরে প্রথম দুই ম্যাচে জয়ের পর টানা তৃতীয় হারের তেতো স্বাদ পেল হরমনপ্রিত কৌরের দল। তাতে কঠিন হচ্ছে সেমিফাইনাল সমীকরণ। ছন্দে না ফিরতে পারলে ঘরের মাঠে হয়তো দর্শক হয়েই থাকতে হবে তাদের।

বড় লক্ষ্য তাড়ায় ভারতের শুরুটা ভালো ছিল না। প্রথম ১০ ওভারে ৪২ রানে ২ উইকেট হারায় তারা। তৃতীয় উইকেটে স্মৃতি মান্ধানা ও হরমনপ্রিতের ১২২ বলে ১২৫ রানের জুটি জয়ের পথে রাখে স্বাগতিকদের।

৭০ বলে ৭০ রান করে বিদায় নেন হরমনপ্রিত। এরপর দীপ্তি শর্মাকে নিয়ে হাল ধরেন স্মৃতি। ফলে জয়ের পথেই ছিল ভারত। স্মৃতি মান্ধানার ব্যাটে ৪১ ওভারে ৩ উইকেটে ২৩৩ রান তুলে ফেলে তারা।

শেষ ৫৪ বলে প্রয়োজন ৫৬ রান, হাতে ৭ উইকেট। এমতাবস্থায় ম্যাচ ভারতের হাতের মুঠোয় বলা যায়। তবে পরের ওভারে মান্ধানা ৯৪ বলে ৮৮ রানে আউট হলে বাড়তে থাকে চাপ। তারপরও ভারতের নাগালেই ছিল।

শেষ ৫ ওভারে দরকার ছিল ৩৬ রান। কিন্তু ৪৭ ওভারে দীপ্তি ৫৭ বলে ৫০ করে আউট হলে বাড়ে বিপদ। শেষ ১৯ বলে তখন প্রয়োজন ছিল ২৭ রান, আর শেষ ওভারে দরকার হয় ১৪ রান। তবে ৯ রানের বেশি তুলতে পারেনি ভারত।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনার অ্যামি জোন্সের ৬৮ বলে ৫৬ ফিফটিতে বড় সংগ্রহের ভিত পায় ইংল্যান্ড। ৩০০তম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নেমে দলকে টানেন নাইট।

৮৬ বলে তৃতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। ৩৪ বছর বয়সী ব্যাটার আউট হন ৪৪.৩ ওভারে ৯১ বলে ১০৯ রান করে। এছাড়া চার্লি ডিন ১৩ বলে ১৯ রানে অপরাজিত থাকেন। বাকিরা কেউ ভালো কর‍তে পারেননি।

এই জয়ে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার পর তৃতীয় দল হিসেবে সেমিফাইনালে উঠে গেল ইংল্যান্ড। আর ভারত পড়ে গেল অনেক ‘যদি-কিন্তু’র মারপ্যাঁচে। ২৩ অক্টোবরের ভারত-নিউজিল্যান্ড ম্যাচটি তাই পরিণত হয়েছে অলিখিত কোয়ার্টার ফাইনালে।