দেশের ক্রিকেটে ফের দুর্যোগ, বোমা ফাটালেন লিটন দাস

এমনকি লিটন দিয়ে রেখেছেন এসব কিছু চলতে থাকলে অধিনায়কত্ব ছাড়ার আচ্ছন্ন হুমকিও। বিশ্বকাপ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তার উত্তর ছিলো— ‘বিশ্বকাপ পর্যন্ত আমি থাকি কি না, দেখেন।’

নয়া দিগন্ত অনলাইন
লিটন দাস
লিটন দাস |সংগৃহীত

দেশের ক্রিকেটে আবারো দুর্যোগের ঘনঘটা। প্রকাশ্যেই লিটন দাস দিলেন সেই বার্তা। সংবাদ সম্মেলনে ঘটলো অধিনায়কের ক্ষোভের বিস্ফোরণ, কাঠগড়ায় তুললেন বোর্ড ও নির্বাচকদের।

তবুও সেটা শামীম পাটোয়ারীকে নিয়ে। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে মাঠে নামার আগে শামীমের বাদ পড়া ইস্যুতে দেশের ক্রিকেটে যেন আগুন ধরিয়ে দিলেন লিটন দাস।

বুধবার চট্টগ্রামে সংবাদ সম্মেলনে এই প্রসঙ্গে লিটন বলেন, শামীমকে বাদ দেয়ার পেছনে কোনো কারণ আমি দেখি না। জানিও না, কেন বাদ পড়েছে সে। ইটস নট মাই কল, টোটালি সিলেক্টরস কল।’

‘শামীম থাকলে অবশ্যই ভালো হতো। নির্বাচকরা আমাকে কোনো কিছু নোটিশ করা ছাড়াই শামীমকে বাদ দিয়ে দিয়েছে দল থেকে। উইথ আউট অ্যানি নোটিশ,’ যোগ করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

লিটন আরো বলেন, ‘আপনি প্রত্যেক ক্রিকেটারের কাছে প্রতি সিরিজে পারফরম্যান্স আশা করতে পারবেন না। শামীম কিন্তু দুই-তিনটা সিরিজে খুব অসাধারণ ক্রিকেট খেলেছে, যেটা আমাদের দরকার ছিল। সে ক্ষেত্রে বাদ পড়াটা শামীমের জন্য হতাশাজনক।’

তিনি বলেন, ‘অধিনায়ক হিসেবে আমি সরি। কিছুই বলতে পারব না তাকে। কারণ, আমি কখনোই আশা করি না যে কেউ প্রতিদিনই পারফর্ম করে দেবে। দুই-তিনটা সিরিজে যখন পারফর্ম করবে না, তার পাশে আমার থাকা উচিত। আমি সত্যিই সরি যে আমি তাকে ব্যাক করতে পারিনি।’

লিটন না জানলেও বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। ব্যাট হাতে একদমই ছন্দে নেই শামীম। শেষ নয় টি-টোয়েন্টিতে রানের খাতা খোলার আগে ফিরেছেন চারবার। ১ রানে আউট হয়েছেন দুইবার। সব মিলিয়ে একেবারেই রানে নেই তিনি।

এমতাবস্থায় শামীমকে বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক না ভুল, তা নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে। তবে যে প্রক্রিয়ায় শামীম বাদ পড়েছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠাই স্বাভাবিক। প্রশ্ন তুলেছেন লিটন দাস নিজেও।

তিনি বলেন, ‘আমি এতদিন জানতাম যে একটা দল যখন কেউ হ্যান্ডল করে, অন্তত অধিনায়ক জানে যে কোন ক্রিকেটার কখন দলে আসবে, কখন বাইরে যাবে।’

বিভিন্ন দেশে নানা সময়ে অধিনায়ককে নির্বাচক কমিটিতে আনুষ্ঠানিকভাবেই দেখা গেছে। অন্তত দল নির্বাচনের আগে কোচ ও অধিনায়কের মতামত নেয়া তো প্রচলিত রীতিরই অংশ।

কিন্তু রাজ্যের অসন্তোষ কণ্ঠে নিয়ে লিটন যা জানালেন, তা অবাক করার মতোই। বলেন, ‘আমাকে বলা হয়েছে, সিলেক্টর প্যানেল ও বোর্ড থেকে যে দলটা দেয়া হবে, আমাকে সেই দলটা নিয়েই কাজ করতে হবে। এখানে আমার বলার কিছু থাকবে না যে, আমি কোন ক্রিকেটারকে চাই, কাকে চাই না।’

‘আমি এতদিন জানতাম, একটা মানুষ যখন অধিনায়ক, তার একটা দল গোছানোর একটা পরিকল্পনা থাকে। তবে সম্প্রতি কয়েকদিন থেকে জানতে পারলাম, যে দলটা আমাকে দেয়া হবে, আমার কাজ হচ্ছে সেই দলটাকে নিয়েই মাঠে ভালো কিছু দেয়া।’

এমনকি লিটন দিয়ে রেখেছেন এসব কিছু চলতে থাকলে অধিনায়কত্ব ছাড়ার আসন্ন হুমকিও। বিশ্বকাপ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তার উত্তর ছিল- ‘বিশ্বকাপ পর্যন্ত আমি থাকি কি না, দেখেন।’